সংক্ষিপ্ত
- চারপাশে বহু মানুষ দেখা যায় যারা উঠতে বসতে অনবরত অকারণে মিথ্যে কথা বলেন
- প্রয়োজন নেই, তবুও তারা মিথ্যে কথা বলে চলেছেন
- হয়তো আপনি সেই বিষয়টিতে আগ্রহীই নন
- তবুও আপনাকে তিনি মিথ্যে কথা বলছেন বা লুকোচ্ছেন
চারপাশে বহু মানুষ দেখা যায় যারা উঠতে বসতে অনবরত অকারণে মিথ্যে কথা বলেন। প্রয়োজন নেই, তবুও তারা মিথ্যে কথা বলে চলেছেন। হয়তো আপনি সেই বিষয়টিতে আগ্রহীই নন। তবুও আপনাকে তিনি মিথ্যে কথা বলছেন বা লুকোচ্ছেন।
মেন্টাল হেলথ ওয়েবসাইটে সাইকোলজি টুডে-তে ডেভিড জে লে জানিয়েছেন এই রকম স্বভাবের পিছনেও রয়েছে বিশেষ কয়েকটি কারণ। এই মিথ্যের পিছনে কোনও মিথ্যে নেই বলে আপনার মনে হলেও, আসলে এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কয়েকটা কারণ। দেখে নেওয়া যাক মানুষ কখন এবং কেন অকারণে মিথ্যে বলেন-
১) প্রথমত এরা মনে করেন যে মিথ্যে বলার প্রয়োজন রয়েছে। চার পাশের মানুষ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও এরা ভাবে এদের এই মিথ্যে বলাটা আবশ্যিক। এরা যে বিষয়ে মিথ্যে বলছে সেটিকে প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটা বেশি গুরুত্ব দেয়। সঙ্গে বলা ভালো, এরা নিজেদেরকেও খুব গুরুত্ব দিতে পছন্দ করে।
২) মিথ্যে বলার কোনও প্রয়োজন নেই, তবুও কেউ মিথ্যে বললে বুঝবেন তিনি অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে ভালোবাসেন। কোনও বিষয় মিথ্যে বললে যদি সামনের ব্যক্তিরা তা বিশ্বাস করে তা হলে তিনি নিজের কলার উঁচু করেন। অর্থাৎ মিথ্যে বলেও তিনি অন্যের মনে বিশ্বাস তৈরি করতে পারছেন এই বিষয়টি আত্নতুষ্টির জন্যই এরা করে থাকেন। অন্যকে মিথ্যে বলে বা ঠকিয়ে এরা নিজেরাই নিজেদের বুদ্ধির বাহবা দিতে পছন্দ করেন।
৩) অন্য কোনও ব্যক্তিকে মুগ্ধ করার জন্যও এরা মিথ্যে বলেন। হয়তো তাঁরা নিজেরা ভিতর থেকে অন্য মত পোষণ করেন। কিন্তু সামনের ব্যক্তি কী পছন্দ করেন সেই অনুযায়ী এরা কথা বলেন। নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে এরা সংকোচ বোধ করেন। এরা ভাবেন তাঁদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ্যে আনলে সামনের লোক তা মোটেই পছন্দ করবেন না।
৪) মিথ্য়ে এমনই একটা জিনিস যার বিস্তৃতি ঘটে যায় মুহূর্তে। তাই মানুষ একটা মিথ্যে ঢাকতে গিয়ে আর একটা বলে ফেলে। সেই মিথ্য়ে ঢাকতে গিয়ে আবার আর একটা। এভাবেই মিথ্যের বিস্তার হতে থাকে।
৫) ব্যস্ততার যুগে নিজের সঙ্গে সময় কাটানো বা নিজের ভালো লাগার জিনিসগুলি করে ওঠাও দুষ্কর হয়ে ওঠে। তাই একটা ছুটির দিন বিশ্রাম করতে বা নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে অনেকেই বন্ধুদের মিথ্য়ে কথা বলে থাকেন। কিন্তু এই মিথ্যে খুবই নিরীহ।