কোনো সম্পর্কই প্রথম থেকে আদর্শ হয় না। ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, হাসির সাথে সাথে কান্না, মান-অভিমান, ঝগড়া এইসব মিলিয়েই গড়ে ওঠে সম্পর্ক। এখন তো গবেষণাও বলছে, এই ঝগড়ার মাধ্যমেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে তা সম্ভব।

প্রেম যতই গভীর হোক না কেন ঝগড়া এর অবিছেদ্য অংশ। সবসময় শুধু শান্তি, বোঝাপড়ার মাধ্যমেই সম্পর্ক বজায় থাকবে, এমনটা নয়। মান-অভিমান, ভিন্ন মত, ঝগড়াঝাটি এসবের কারণে দাম্পত্যে হয়তো মুখ দেখা দেখিও বন্ধ থাকে অনেকসময়।

তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এই ঝগড়ার মাধ্যমেই দৃঢ় হতে পারে সম্পর্ক। হালকা থেকে তীব্র ঝামেলা, ঝগড়া, একে ওপরের প্রতি রাগ-বিদ্বেষ উগরে দেওয়া এগুলোতে আখেরে সম্পর্কের লাভই হয়। কিন্তু কীভাবে ভাবছেন তো?

ঝগড়া কীভাবে সম্পর্ক শক্তিশালী করার মাধ্যম?

১। মনের কথা প্রকাশ পায়

ঝগড়ার সময় মানুষ আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনা, ফলে মনের জমে থাকা কথা, খুব, অভিমান, কষ্ট বেরিয়ে আসে। যা সাধারণ সময়ে কথা বললে হয়তো জানাও যেত না। এতে একও অপরকে আরও ভালোভাবে চেনা যায়। একে অপরের ক্ষত, চাহিদা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারে। এতে পরবর্তীতে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা কমে যাবে।

২। সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়

ভালোবাসার মাঝেও ঝগড়াঝাটি, কান্নাকাটি, অভিমান হলে সম্পর্ক আরও ভালো থাকবে। একে ওপরের মনের ভিতর পর্যন্ত জানা যাবে, চেনা যাবে। ঝগড়ার মধ্যেও সম্পর্কে একজন আরেকজনকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, কতটা ভালবাসছে বোঝা যাবে। এতে প্রতিবার ঝগড়ার সাথে এক ধাপ করে বন্ধন দৃঢ় হতে থাকে।

৩। আত্মমূল্যায়নের সুযোগ মেলে

ঝগড়ার সময় কথায় কথা বাড়ে। সম্পর্কে একে অপরকে নিয়ে চাহিদা, কে কোথায় ভুল করছে, কার কোনটা ভালো বা লাগছে না, সেটা দুজনের সামনেই উঠে আসে। ফলে দুজনেই আত্ম মূল্যায়নের সুযোগ পায়, তাই ঝগড়ার মাধ্যমে নিজেকে আরও ভালো করে তোলা যায় একে অপরের জন্য।

কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি

* তবে ঝগড়ার সময় মনে রাখতে হবে, আপনি এবং আপনার সঙ্গী দুজনেই একই টিমের, প্রতিদ্বন্দ্বী নন। এতে একে অপরকে দূরে ঠেলে দেওয়ার প্রবণতা কমবে।

* ঝগড়ার সময় নিজের শব্দ চয়ন এবং ব্যবহারের উপর একটু খেয়াল রাখা জরুরী, বিশেষ করে কোন একজনের মাত্রাছাড়া প্রতিক্রিয়ার স্বভাব থাকলে।

* ঝগড়ার শেষে আত্ম মূল্যায়নের মাধ্যমে নিজেকে শুধরে নিয়ে, একে অপরের কাছে ফিরে যাওয়াই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখবে।