সংক্ষিপ্ত

  • বয়স নিয়ে লুকোচুরি করা একদম ঠিক নয়
  • সঠিক খাদ্যাভাস না বললে সেইমতো চিকিৎসারও ভুল থেকে যাবে
  • যারা ধূমপান করেন তারা ভুল করে এই বিষয়টি আড়ালটি করবেন না
  • আপনার মানসিক অবস্থার কথা ডাক্তারকে খোলাখুলি বলুন 

অনেকেই আছেন যারা চিকিৎসকের কাছে গেল নিজের সমস্যা খুলে বলেন না। এমনকী চিকিৎসকের কাছে গেলেও অনেক কিছু মিথ্যা কথা বলেন বা লুকিয়ে রাখেন। এটি করা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। কারণ শরীর খারাপ হলে সেইমতোনই ডাক্তার আপনাকে ওষুধ দেবেন। কিন্তু আপনি যদি সেটা খুলে না বলেন তাহলে আপনার তো রোগ ঠিক হবে না উল্টে নানান সমস্যায় পড়ে যাবেন আপনি। এবং ভুল চিকিৎসার কারণে আপনার শরীরে আরও কোনও সমস্যাও আসতে পারে। যখনই চিকিৎসকের কাছে যাবেন সবকিছু খুলে বলবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক,কোন কোন বিষয় ডাক্তারের কাছে লুকালে আসতে পারে মহা বিপদ।

আরও পড়ুন-ঘরোয়া উপায়ে কী করে আপনি সুস্বাস্থের অধিকারি হতে পারবেন, জেনে নিন...

বয়স লুকাবেন না

অনেকেই ডাক্তারের কাছে গেলে নিজের বয়স ঠিকমতো বলতে চান না। বয়স কমিয়ে বলাই বেশিরভাগ মানুষের অভ্যেস। বয়স নিয়ে লুকোচুরি করা একদম ঠিক নয়। সঠিক বয়স না জানার কারণে চিকিৎসকরা ঠিকমতো চিকিৎসা করতে পারেন না। আর এই ভুল চিকিৎসার জন্য নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনেন।

সঠিক খাদ্যাভাসের কথা বলা

আমরা সারাদিনে কী খাই সেটা সঠিকভাবে ডাক্তারকে বলুন। কারণ ডাক্তারকে সত্যি কথা না বললে রোগের ঠিকমতো চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। অনেকেই হয়তো আছেন কঠিন রোগে ভুগছেন। কিন্তু বাড়ির লোক জেনে যাবে এই ভয়ে ডাক্তারকে মিথ্যে কথা বলছেন। এতে কিন্তু আপনারই ক্ষতি হবে। কারণ সঠিক খাদ্যাভাস না বললে সেইমতো চিকিৎসারও ভুল থেকে যাবে। তাই আপনি যা খাচ্ছেন সেটা সঠিক ভাবে ডাক্তারকে বলুন।

ধূমপানের অভ্যেস

যারা ধূমপান করেন তারা ভুল করে এই বিষয়টি আড়ালটি করবেন না। আর আপনার মিথ্যে কথা বলার জন্যই কঠিন কোনও রোগে পড়তে পারেন আপনি। তাই ভুল করেও এই কাজটি করবেন না। কার্ডিওলজিস্ট হোক বা ডার্মাটোলজিস্ট সকল ডাক্তারের  কাছেই নিজের এই অভ্যেসটির কথা বলুন।

আরও পড়ুন-গুগল প্লে স্টোরে এবার হাজির 'আধার অ্যাপ', জেনে নিন সুবিধাগুলি...

গর্ভপাত

প্রত্যেকটি নারীর জন্য এই বিষয়টি ভীষণ স্পর্শকাতর ও ব্যক্তিগত। অনেক সময় পরিবারের কাছেও এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু নিজের শরীরের কথা চিন্তা করে বিষয়টি চেপে না রাখাই ভাল। গাইনোকলজিস্টের কাছে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে বিশদে খুলে বলুন।

মানসিক অবস্থা

নিজে কেমন আছেন, আপনার মনের বর্তমান অবস্থা কী এই বিষয়গুলি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন। মানসিক চাপ বেশি পড়ছে, অফিস নিয়ে ডিপ্রেসড হয়ে আছেন, বা কোনও কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করছেন, কিংবা হতাশা আপনাকে জাকিয়ে ধরছে। এই ধরণের কোন লক্ষণ দেখলেই ডাক্তারের কাছে যান। এবং সমস্যা গুলি নিয়ে আলোচনা করুন।