সংক্ষিপ্ত
- হাওড়া যোগে ঘটল বিপত্তি
- করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল মেদিনীপুরে
- তাঁর চিকিৎসা চলছে কোভিড হাসপাতালে
- আক্রান্তের মেয়ে মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন
'রেড জোন' হাওড়া থেকে ঢুকল মারণ ভাইরাস। ফের করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল মেদিনীপুরে। ওই ব্যক্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কোভিড হাসপাতালে। রিপোর্ট আসার আগে তিনি আবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একাধিক বিভাগের রোগী, চিকিৎসক ও নার্সের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। উদ্বেগে ঘুম উড়েছে জেলা প্রশাসনের।
আরও পড়ুন: অবশেষে আজমের শরিফ থেকে রাজ্য়ে, ঘরে ফিরল পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থযাত্রীরা
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা। মেয়ে সদ্য ডাক্তারি পাস করেছেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ইন্টার্ন হিসেবে কর্মরত তিনি। করোনা আবহের মধ্যেই সোমবার বাবাকে নিজে কাছে নিয়ে আসেন ওই তরুণী। একাধিক শারীরিক সমস্যা ভুগছিলেন তিনি। ওই ব্য়ক্তিকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মেডিসিন বিভাগে। সেখানে ছিলেন আরও ৩০ জন রোগী। উপসর্গ তো ছিলই, তার উপর আবার হাওড়া থেকে এসেছেন। রোগীর লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠান চিকিৎসকরা। কিন্তু রিপোর্ট আসা পর্যন্ত আর অপেক্ষা করা হয়নি, শারীরিক অবস্থায় উন্নতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেডিসিন বিভাগের জেনারেল ওয়ার্ডে। শেষপর্যন্ত যখন রিপোর্ট আসে, তখন জানা যায়, হাওড়া থেকে আগত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তের মৃত্য়ুতে বন্ধ কলকাতার আরও এক নার্সিংহোম, চিকিৎসক-সহ ১০ কোয়ারেন্টিনে
আরও পড়ুন: কলকাতায় কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে থাকা ৬ বিএসএফ করোনা আক্রান্ত, কোয়রান্টিনে আরও ৫০
মেদিনীপুরের কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে করোনা আক্রান্তের। তাঁর সংস্পর্শে আসার কারণে ২০ জনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। বাকিদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। জানা গিয়েছে, আক্রান্তের ছেলে দিন কয়েক আগে দিল্লি থেকে হাওড়ার বাড়িতে ফিরেছেন। এই পরিস্থিতিতে 'রেড জোন' হাওড়া থেকে কী করে মেদিনীপুরে চলে এলেন করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই বা রিপোর্ট আসা পর্যন্ত কেন অপেক্ষা করল না? মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের সাফাই, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে স্পেশাল পারমিশন করিয়ে বাবাকে মেদিনীপুরে নিয়ে আসেন আক্রান্তের মেয়ে। এদিকে এই ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অন্য রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কারণে এমন ঘটনা ঘটল বলে দাবি করেছেন সকলেই।