সংক্ষিপ্ত

  • আধার কার্ড তৈরির নামে প্রতারণা
  • বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস
  • আধার সেন্টারে পুলিশের অভিযান
  • অবাধে টাকা লুঠের দরজা বন্ধ করল পুলিশ

শাজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর-আধার কার্ড তৈরির নামে বড়সড় প্রতারণা চক্র! সাধারণ মানুষের কাছ ৫০০-৭০০ টাকা নিয়ে আধার সেন্টার খুলে টাকা লুঠ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পুলিশের অভিযানে বড়সড় চক্রের পর্দাফাঁস। গ্রেফতার ভিন জেলার পাঁচ জন। 

আরও পড়ুন-বিজেপি কর্মীর উপর লাঠি-লোহার রড দিয়ে হামলা, রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাসন্তী

ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। অভিযোগ, বাড়ির সামনে আধার সেন্টার খুলে প্রতারণা চক্র চলছিল। পুরনো কার্ডের সংশোধনী কিংবা নতুন  আধার কার্ড। পাঁচশো থেকে সাতশো টাকা করে মাথা পিছু নিয়ে চলছিল আধার কার্ড তৈরি। করোনা আবহ, লকডাউন জেরে সাধারণ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিচয়পত্র তৈরি করার জন্য ভিড় জমান  ওই আধার সেন্টারে। ভিড়ের তোড়ে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায় চন্দ্রকোনার ইলামবাজারে। এরপরই, খবর পেয়ে ওই আধার সেন্টারে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার হয় ভিন জেলার পাঁচ জন এবং একজন মহিলাও।

 

আরও পড়ুুন-বর্ধমানের পাত্র-পাত্রী ভিনদেশি, ভার্চুয়াল বিয়েতে দুই বাংলার আজব মিশেল

কীভাবে চলত প্রতারণা চক্র?

দিন কয়েক আগে চন্দ্রকোনা টাউন থানার পুলিশের কাছে খবর আসে, টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড তৈরি হচ্ছে ইলামবাজার এলাকায়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান চালানোর পর শনিবার সকালে ওই আধার সেন্টারে পৌঁছায়। সাধারণ পোশাকে থাকায় প্রাথমিকভাবে পুলিশকে পাত্তা দেয়নি প্রতারকরা। দেখা যায় সেখানে আরও চারজন আধার কার্ড তৈরির কাজে জড়িত রয়েছেন। অভিযুক্তদের কাছ থেকে আধার কার্ড তৈরির সঠিক নথিপত্র দেখতে চায় পুলিশ। সেখানে একজন মহিলা নিজেকে বিধায়কের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। শেষমেষ, পুলিশের জালে ধরা পড়ে পাঁচজন। তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জানাগেছে, একমাসের বেশি সময় ধরে এই আধারকার্ড তৈরির ফাঁদ পেতেছিল প্রতারকরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।