সংক্ষিপ্ত

  • বিশেষ একটি প্রকল্প রূপায়ণ করতে চলেছে মেদিনীপুর পৌরসভা
  • রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকায় হবে প্রকল্প
  •  পরিবারের সদস্য হিসেব করে মিটার বসিয়ে পানীয় জল সরবরাহ
  •  জল অপচয় বন্ধ করতে আর থাকছে না রাস্তার কল  

যুগ আধুনিকীকরণের সঙ্গে সঙ্গেই পানীয় জল দুর্মূল্য হয়ে পড়ছে। তাই পানীয় জলের গুরুত্ব বারবার বোঝানোর পরেও জল অপচয় রোধে খুব একটা হোল দল নেই অনেকের।এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মেদিনীপুর পৌরসভা বিশেষ একটি প্রকল্প রূপায়ণ করতে চলেছে মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকায়। যেখানে পৌর নাগরিকদের প্রতিটি পরিবারের সদস্য হিসেব করে মিটার বসিয়ে পানীয় সংযোগ ও সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। তবে থাকবেনা কোন স্ট্রিট ট্যাপ। যাতে জল অপচয় বন্ধ হবে, পানীয় পরিষেবাও নিশ্চিত করা যাবে। প্রকল্পের নাম অম্রুত।

হিংসাকে প্রশ্রয় দেওয়া নিন্দনীয়', দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে টুইট রাজ্যপালের

মেদিনীপুর শহর মেদিনীপুর পৌরসভার অন্তর্গত। প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার ভোটার নিয়ে এই মেদিনীপুর পৌরসভা। প্রায় দেড়শ বছরের এই পৌরসভা পাইপলাইনের মাধ্যমে তার নাগরিকদের কাছে যে পানীয় পরিষেবা এতোদিন পৌঁছে দিচ্ছিল বর্তমানে তার বেশির ভাগটাই অকেজো। পানীয় সরবরাহে ব্যাঘাত সমস্যা মেটাতে গিয়ে কাউন্সিলররা খুঁজে পাননি পানীয় জলের পাইপ লাইনের লে-আউট।তাই নতুন করে পাইপলাইন বিছিয়ে পানীয় জল সরবরাহের জন্য পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। এজন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই পৌরসভাকে ২০১৬ সালে "অম্রুত" নামক প্রকল্পে ১৮০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যার কাজ বর্তমানে শেষ পর্বে।

নবীন পট্টনায়েকের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে মুখোমুখি অমিত-মমতা, অধরাই থাকল এনআরসি-এনপিআর

এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা মেদিনীপুর পৌর এলাকার দু নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন-" পুরনো পৌরসভার পুরনো পানীয় সরবরাহের লে-আউট নেই।মূলত সাবমারসিবল নির্ভর সরবরাহ করতো। বর্তমানে এই পুরনো জটিল পদ্ধতি ছেড়ে নতুন প্রকল্পে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে সাতটা ওভারহেড রিজার্ভার হচ্ছে মেদিনীপুর পৌর এলাকাতে। পৌর এলাকার পরিবারগুলির সদস্য হিসেব করে প্রতিটি বাড়িতেই পাইপ লাইন সংযোগ দিয়ে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। তুলে দেওয়া হবে রাস্তায় থাকা ট্যাপগুলো। পানীয় জল অপচয় রোধে এই ব্যবস্থা।"

রবিবার পর্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে কলকাতায়, মার্চের শুরুতে ফের বৃষ্টি

এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে নতুন পাইপ লাইন বিছানোর কাজ শুরু হচ্ছে তার কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল নকশা সংরক্ষণ করা হচ্ছে মেদিনীপুর পৌরসভাতে। যাতে আগামী দুশো বছর পরেও কোন সমস্যা হলে পানীয় জলের পাইপ লাইন নকশা পৌর কর্তৃপক্ষ সহজেই চিহ্নিত করতে পারে।

নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন-" অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে সুচিন্তিতভাবে এই প্রকল্প রূপায়ণ করা হচ্ছে। যার মূল লক্ষ্য আগামী একশো বছরের জন্য মেদিনীপুর পৌর এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ নিশ্চিত করা। সেইসাথে পানীয় জল অপচয় কড়াকড়ি ভাবে বন্ধ করা।"