সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে রাম পুজোর আয়োজন
- ময়দানে বিজেপি ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা
- বেআইনি কাজ বলে গ্রেফতার তিরিশ জনের বেশি
- পরে রাস্তা আটকে পুলিশকে বাধা দিলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি
শাহাজাহান আলি, মেদিনীপুর: পুলিশি সতর্কতা সত্ত্বেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে রাম পুজোর আয়োজন করে তৈরি ছিল বিজেপি ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা ৷ মাঠে নেমে মেদিনীপুর , চন্দ্রকোনা, খড়্গপুর, বেলদা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হল তিরিশ জনের বেশি লোকজনকে ৷ অভিযোগ, খড়্গপুরে গ্রেফতার করে যাওয়ার রাস্তা আটকে পুলিশকে বেধড়ক মার ও ইঁট ছোঁড়ে বিজেপি কর্মীরা ৷ যাতে আহত হন পুলিশ কর্মীরা ৷ বুধবার দিনভর লকডাউনের নিয়ম ভেঙে বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ২৫৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
বাংলার লকডাউনে 'পাকিস্তান যোগ', মমতাকে নিয়ে কী বললেন অর্জুন
এদিন সকালে জেলার চন্দ্রকোনা রোডে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে চন্দকোনা রোড চৌরাস্তার মোড়ে মাইক বাজিয়ে , পতাকা লাগিয়ে রামপুজোর আয়োজন করা হয়েছি।গড়বেতা থানার ওসির নেতৃত্বে মাইকের যন্ত্রাংশ তুলে নেওয়া হয়।বাজেয়াপ্ত করা হয় মাইক ও সামগ্রী ৷ বেলা দশটা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের রামকৃষ্ণনগরে বিজেপির পক্ষ থেকে রামের পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল ৷
হাতে ঘাসফুল-মনে পদ্মফুল, দলের 'গদ্দারদের' নিয়ে চিন্তায় তৃণমূল
পুলিশ গিয়ে নিয়ম ভেঙে বেশি জমায়েত রাখার অভিযোগে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর গুছাইত সহ চারজনকে গ্রেফতার করে ৷ একই ভাবে মেদিনীপুর শহরে বিভিন্ন স্থানে লকডাউনের নিয়ম ভাঙ্গায় আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে কতোয়ালী থানার পুলিশ ৷ বুধবার খড়গপুর ও বেলদাতে লকডাউন অমান্য করে বিভিন্ন মন্দিরে রাম পুজো ও ধর্মীয় মিছিল করতে রাস্তায় নামলেন রাম ভক্তেরা। পুলিশের সাথে দফায় দফায় বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে তারা।একাধিক জায়গায় পুলিশের সাথে রামভক্ত বিজেপি সমর্থকেরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।
বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বে ঘটছে বড় বদল, দিলীপ-এর পরিবর্তে আরএসএস বেছে নিল তিন প্রার্থী, জানুন বিশদে
বেলদাতে ৯ জন বিজেপি সমর্থক ও খড়গপুরে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বেলা ২ টা পর্যন্ত ৷ এরপরে তালবাগিচা এলাকাতেও নিয়ম ভেঙে রাস্তায় বেরিয়ে পুজো করার সময়ে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বিজেপির লোকজন পুলিশের গাড়ির রাস্তায় আটকায় ৷ বেধড়ক ইঁট ছুঁড়ে মারা হয় ৷ গাড়িতে ভাঙচুর করে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ৷ অভিযোগ,ভেতরে থাকা পুলিশ কর্মীরা খড়্গপুরের এসডিপিও সুকোমল কান্তি দাস আক্রান্ত হন বিজেপি ও রামভক্তদের দ্বারা ৷ পাল্টা লাটিচার্জ করে পুলিশও ৷ নতুন করে গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকজনকে ৷
৫ অগস্ট ছুটি ঘোষণা হোক, রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা নিয়ে দাবি দিলীপের.
সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে বিজিপর জেলা সভাপতি শমিত দাস বলেন, পুলিশ প্রশাসন পরিকল্পিত ভাবেই এই লকডাউন করেছিল ৷ লোকজনও বিশেষ দিনটিতে রামের পুজোর চেষ্টা করছিল ৷ যা করার প্রয়োজন ছিল ৷ কিন্তু পুলিশ জুলুমবাজি করেছে সর্বত্র , বহু লোকজনকে গ্রেফতার করেছে, লাঠি চার্জ করেছে ৷ এটা বিপরীত প্রতিক্রিয়া পাবে শাসকদল ৷
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ৷ তিনি বলেন, বিজেপি করোনা আবহকে নিয়েও রাজনীতি করছে ৷ বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে করোনার প্রকোপ বেশি, তুলনায় এখানে কম বলেই লকডাউনের নিয়ম ভেঙে মানুষকে বাইরে বের করে সংক্রমিত করাতে চাইছে ৷ বাঙালি বিরোধী বিজেপি এই চক্রান্ত মানুষ বোঝেন ৷ তাই পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে ৷ আমরাও ধর্মিক,কিন্তু ধর্মকে নিয়ে রাজনীতির ব্যাবসা করি না ৷ পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, বুধবার দিনভর বিভিন্ন ভাবে লকডাউনের নিয়ম ভেঙে মোট ২৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৷