জোড়াসাঁকো ৭ এর পল্লীর পুজোয় দেখা মিলবে শিল্পী সন্দীপ সাহা-র কাজ। তাই এই বিপন্ন কলতান বা আমাদের বর্তমান প্রকৃতির দুরাবস্থার বিষয়ে বা প্রকৃতিকে সুস্থ রাখার বার্তা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জোড়াসাঁকো ৭ এর পল্লী সার্বজনীন দুর্গোৎসব।
চলতি বছরে ৮৪ তম বর্ষে দারুণ চমক নিয়ে হাজির হয়েছে বাদামতলা আষাঢ় সংঘ। গত দুই বছরের তুলনায় এবছরের দুর্গোৎসবে অন্যরকমের চমক অপেক্ষা করছে দর্শনার্থীদের জন্য। প্রত্যেক বারের মতোই এবারেও নয়া ভাবনা উপস্থাপন করছে বাদামতলা আষাঢ় সংঘ । চলতি বছরে বাদামতলা আষাঢ় সংঘের থিম হলো- 'পদাঙ্ক'।
করে বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ উৎসবের সময় বাস্তু ত্রুটির জন্য খারাপ না হয়। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে এমন পরিস্থিতিতে ঘরে এমন কিছু জিনিস আনুন, যার পরে আর্থিক সমস্যা দূর হতে শুরু করবে। আর আপনার পুজো এবং তার পরবর্তী দিনগুলিও নিশ্চিন্তে কাটাতে পারবেন।
শনিবার ভাদ্রপদ মাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে পিতৃপক্ষের সূচণা। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে শ্রাদ্ধপক্ষ সমাপ্ত হবে, এই দিনে সর্ব পিতৃ অমাবস্যা বা মহালয়া অমাবস্যা ২০২২।
তেলেঙ্গাবাগানের দুর্গাপুজো এবছর পা দিচ্ছে ৫৭ তম বর্ষে। এবারের থিম ‘তোরমা’। তিব্বতের এক বিশেষ নৈবেদ্যর আদলে গড়ে উঠছে অভাবনীয় এক পূজা মণ্ডপ।
শিবমন্দিরের পুজোর ৮৬ তম বর্ষে সেই বিশ্বাসকেই তুলে ধরছে ক্লাব কমিটি। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি এই নশ্বর জীবনের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর। তিনিই মানুষের পাপ পুণ্য ন্যায় নীতির বিচারক। তাঁর আরাধনায় মানুষ তাঁকে কাছে পেতে চায়, আঁকড়ে রাখতে চায় বুকের কাছে। পুজো যায়-পুজো আসে।
দুর্গাপুজো ২০২২-এর ৭৫ বছরে পা রেখছে উল্টোডাঙা করবাগান পুজো। তাই দর্শকদের আকর্ষণের জন্য রয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। উদ্যোক্তাদের দাবি তাঁদের মণ্ডপে এলে কোনও দর্শকই হতাশ হবেন না। মহালয়া থিমই দর্শকদের মন ভালো করে দেবে।
থিম পুজো নয় বরং সাবেকিয়ানা ছোঁয়াতেই নব দুর্গার আরাধনা করে গড়িয়ার নব দুর্গা মিতালি সংঘ। প্রতি বছরই মহামায়ার ১০৮ রূপের মধ্যে যেকোনও ৯ টা রূপ তারা ফুটিয়ে তোলেন। এবারও তেমনই মায়ের রূপ দেখা যাবে। ২৭ আগস্ট পুজোর শুভ উদ্বোধনে গড়িয়ার নব দুর্গা মিতালি সংঘে উপস্থিত থাকছেন সকলের মহারাজা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও আরও অনেক আকর্ষণও রয়েছে মিতালি সংঘে।
মেছুয়াবাজার সার্বজনীন পুজো কমিটির উদ্য়োক্তাদের কথায়, চলতি বছর তাঁরা হিন্দুধর্মের সব আরাধ্য দেবতার তুলে ধরতে চেয়েছেন। ধর্মের মধ্য়ে কোনও ভেদাভেদ নেই - এই বার্তাই তারা দিয়েছেন। আর সেই কারণেই মণ্ডপে বিশেষভাবে স্থান পাচ্ছে শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রতীক।
৮৫ বছরের সেলিমপুর পল্লীর পুজোতে এবার সেই সংযোগের বার্তা। ক্লাবের আশা, করোনা পরিস্থিতির আগের সময় ফিরে আসুক। মানুষে মানুষে এই দূরত্ব কমে যাক। চলে যাক মানসিক অবসাদ-অশান্তি।