সংক্ষিপ্ত

এই দেশে কোনো অ-ইসলামিক ধর্মীয় কার্যকলাপের প্রচার বা অংশগ্রহণ করা গুরুতর অপরাধ। আইন ভাঙলে কারাদণ্ড, জরিমানা বা নির্বাসন হতে পারে। এই কঠোর নীতির কারণে, কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা দেশে হিন্দু মন্দির নির্মাণের চেষ্টা করে না।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হিন্দু মন্দির স্থাপনের অনুমতি রয়েছে, এমনকি কিছু মুসলিম-প্রধান দেশেও। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো দেশে হিন্দু মন্দির রয়েছে, যেখানে উৎসব উদযাপিত হয় এবং অবাধে প্রার্থনা করা হয়। তবে, ভারতের একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালদ্বীপে হিন্দু মন্দির স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। 

একসময় হিন্দু ও বৌদ্ধ রাজ্যের আবাসস্থল ছিল মালদ্বীপ, তবে বর্তমানে সেখানে হিন্দু মন্দির নির্মাণ বা হিন্দু ধর্ম পালনের কোনো অনুমতি নেই। প্রয়োজনীয় পণ্য ও শাকসবজির জন্য দেশটি ভারতের ওপর নির্ভরশীল।মালদ্বীপের সংবিধান অনুযায়ী, সকল নাগরিককে মুসলিম হতে হবে। অ-ইসলামিক ধর্মীয় রীতিনীতি, প্রতীক এবং উপাসনালয়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে, যার কারণে সেখানে হিন্দু মন্দির স্থাপন করা অসম্ভব।

প্রায় ৫,৫০,০০০ জনসংখ্যার মালদ্বীপে হাজার হাজার বিদেশি কর্মী রয়েছে, যাদের অধিকাংশই ভারত ও শ্রীলঙ্কার। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা সহ বিভিন্ন পরিষেবা শিল্পে তারা নিযুক্ত। বিদেশি কর্মী থাকা সত্ত্বেও, দেশটি কঠোরভাবে ধর্মীয় আইন প্রয়োগ করে। ফলে, হিন্দু উৎসব বা রীতিনীতি উদযাপন করা প্রায় অসম্ভব।

মালদ্বীপে কেন হিন্দু মন্দির অনুমোদিত নয়?

মালদ্বীপের কঠোর সাংবিধানিক, আইনি এবং ধর্মীয় নীতির কারণে সেখানে হিন্দু মন্দির নির্মাণ করা যায় না। ২০০৮ সালে মালদ্বীপের সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী, দেশটি ১০০ শতাংশ ইসলামিক। সংবিধানের ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, শুধুমাত্র মুসলমানরা মালদ্বীপের নাগরিক হতে পারেন এবং যেকোনো অ-ইসলামিক ধর্মের অনুশীলন, প্রচার বা প্রকাশ্যে প্রদর্শন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এর অর্থ হলো, মালদ্বীপে হিন্দু মন্দির, গির্জা, গুরুদ্বার বা অন্য কোনো অ-ইসলামিক উপাসনালয় নির্মাণ করা যাবে না।

প্রায় ১,৫০০ থেকে ২,০০০ হিন্দু কাজের জন্য মালদ্বীপে বসবাস করেন, কিন্তু তারা প্রকাশ্যে তাদের উৎসব উদযাপন করতে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে পারেন না। মালদ্বীপের বিমানবন্দরে, কর্তৃপক্ষ অন্য ধর্মের কোনো জিনিস আছে কিনা, তা কঠোরভাবে পরীক্ষা করে। পাওয়া গেলে, সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই ধর্মীয় আইন লঙ্ঘন করলে জরিমানা, কারাদণ্ড, এমনকি নির্বাসনও হতে পারে। মালদ্বীপে কোনো অ-ইসলামিক ধর্মীয় কার্যকলাপের প্রচার বা অংশগ্রহণ করা গুরুতর অপরাধ। আইন ভাঙলে কারাদণ্ড, জরিমানা বা নির্বাসন হতে পারে। এই কঠোর নীতির কারণে, কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা দেশে হিন্দু মন্দির নির্মাণের চেষ্টা করে না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।