Arshdeep Singh: আন্তর্জাতিক এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে মাত্র ২০ বছর বয়সী আর্শদীপের এই রেকর্ড গড়তে সময় লেগেছে মাত্র ৬৪টি ম্যাচ এবং ১৩২৯টি বল। তাঁর গড় ১৮.৪৯ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩.৩।
Arshdeep Singh: টেস্টে বিনোদ মানকড়, ওয়ানডেতে কপিল দেব, এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে? গত ২০২২ সালের ৭ জুলাই সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডের রিস টপলিকে দীনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে এর শুরু। তারপর তিন বছর পেরিয়ে গেছে। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে কিংবদন্তি মানকড় এবং কপিল দেবের সঙ্গে একই সারিতে এই নামটিও চলে এসেছে। টি-২০ ক্রিকেটে ভারতের হয়ে ১০০ উইকেট নেওয়া প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে গৌরব অর্জন করেছেন তিনি। সেই তারকা পেসারের নাম হল আর্শদীপ সিং।
দ্রুততম আর্শদীপ
আন্তর্জাতিক এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে মাত্র ২০ বছর বয়সী আর্শদীপের এই রেকর্ড গড়তে সময় লেগেছে মাত্র ৬৪টি ম্যাচ এবং ১৩২৯টি বল। তাঁর গড় ১৮.৪৯ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩.৩। অর্থাৎ, টি-২০ ক্রিকেটে প্রতি ১৩ বলে একটি করে উইকেট নিতে পারেন আর্শদীপ। ভারতের অন্যতম সেরা পেসার হিসেবে ইতিমধ্যেই প্রশংসিত যশপ্রীত বুমরার টি-টোয়েন্টিতে গড় ১৭.৬ এবং স্ট্রাইক রেট ১৬.৮।
আর্শদীপ এই কৃতিত্ব অর্জনকারী দ্রুততম পেস বোলারদের মধ্যে একজন। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান, যিনি ৫৩ ম্যাচে ১১৮৫ বল করে এই মাইলফলকটি ছুঁয়েছেন। ঠিক তারপরেই আছেন নেপালের সন্দীপ লামিছানে। ধারাবাহিকভাবে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতাই আর্শদীপকে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের প্রধান বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।
কেন বাড়তি গুরুত্ব আর্শদীপকে?
মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজের চেয়ে আর্শদীপকে কেন বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তার উত্তর এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। এই বাঁ-হাতি পেসার পাওয়ার প্লে এবং ডেথ ওভারে সমানভাবে কার্যকরী বোলিং করতে পারেন। তাঁর অভিষেকের পর থেকে এই ফরম্যাটের পরিসংখ্যান দেখলেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়। পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারিদের তালিকায় ৪৩টি উইকেট নিয়ে আর্শদীপ এই মুহূর্তে শীর্ষে রয়েছেন।
তারপর ৩১টি উইকেট নিয়ে সেই তালিকায় আছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ডেথ ওভারে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৪৮টি। এই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কোনও বোলার শেষ চার ওভারে ৪০টির বেশি উইকেট পাননি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


