BCCI Total Income: আইপিএল মানে শুধু ক্রিকেট এবং বিনোদন নয়। বিরাট অঙ্কের ব্যবসা এবং তা পৌঁছে গেছে এক বিলিয়ন ডলারে ঘোরে। তাছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মূল্যও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

BCCI Total Income: গত অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) মোট আয় ৯,৭৪১.৭১ কোটি টাকাতে গিয়ে পৌঁছেছে। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৩০% বেশি বলে জানিয়েছে বিসিসিআই। গত ২০২৩ সালে, বিসিসিআই-এর আয় ছিল ৬,৫৫৮.৮০ কোটি টাকা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকেই বিসিসিআই-এর আয়ের সিংহভাগ অংশ আসে। উল্লেখ্য, আইপিএল থেকে মোট আয় ৫,৭৬১ কোটি টাকা এবং আইসিসি থেকে ১,০৪২.৩৫ কোটি টাকা । 

অন্যদিকে, মিডিয়া রাইটস থেকে ৮১৩.১৪ কোটি টাকা আয় করেছে বিসিসিআই। সুদের আয় প্রায় ৯৮৬.৪৫ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে ৩৯১.৫১ কোটি টাকা আয় করেছে তারা। ডব্লিউপিএল থেকে ৩৭৭.৫০ কোটি টাকা এবং ভারতীয় পুরুষ দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে ৩৬১.২২ কোটি টাকা আয় করেছে BCCI।

আইপিএল মানে শুধু ক্রিকেট এবং বিনোদন নয় 

বিরাট অঙ্কের ব্যবসা এবং তা পৌঁছে গেছে এক বিলিয়ন ডলারে ঘোরে। তাছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মূল্যও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫ সালে, আইপিএল-এর ব্যবসায়িক মূল্য গয়ে পৌঁছেছে ১৮.৫ বিলিয়ন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ, বার্ষিক ১২.৯% বৃদ্ধি পেয়েছে মোট আয়। 

এমনিতেই গোটা বিশ্বব্যাপী দর্শক সংখ্যা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্পনসরশিপের চাহিদাও বেড়েছে হু হু করে। তাছাড়া ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের কারণে, ব্র্যান্ড ভ্যালু ১৩.৮% বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৯ বিলিয়ন ডলার তথা ৩২,৭২১ কোটি টাকাতে পৌঁছেছে।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) ২২৭ মিলিয়ন ডলার থেকে ২৬৯ মিলিয়ন ডলার ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। ওদিকে আবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স চতুর্থ স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে এবং চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) ২৩৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে। 

এছাড়া পাঞ্জাব কিংস (পিবি কেএস) ৩৯.৬% বৃদ্ধি পেয়ে বার্ষিক সর্বোচ্চ জায়গাটি অর্জন করেছে। আইপিএল ২০২৩ মরশুম থেকে বিসিসিআই ৫,১২০ কোটি টাকা আয় করেছে। কার্যত, রেকর্ড পরিমাণ আয়। এদিকে ২০২২ সালে, তাদের আয় ছিল মোট ২,৩৬৭ কোটি টাকা।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।