IND vs PAK Asia Cup 2025: প্রমাণ মিলল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই। মাত্র ৫৭ রানেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে অলআউট করে দিলেন সূর্যরা। কুলদীপ এবং শিবম দুবের বোলিং নিঃসন্দেহে নিশ্চিন্ত রাখবে গম্ভীরকে।
IND vs PAK Asia Cup 2025: এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই দাপট এবং দুরন্ত জয়। ভারতের কাছ থেকে তো এটাই প্রত্যাশিত ছিল (india vs pakistan asia cup 2025)। ক্রিকেটীয় শক্তির নিরিখে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম পাওয়ারহাউজ হল টিম ইন্ডিয়া। আর চলতি এশিয়া কাপে তো বটেই (asia cup squad india 2025)।
আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে
প্রমাণ মিলল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই। মাত্র ৫৭ রানেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে অলআউট করে দিলেন সূর্যরা। কুলদীপ এবং শিবম দুবের বোলিং নিঃসন্দেহে নিশ্চিন্ত রাখবে গম্ভীরকে। তাছাড়া পাকিস্তান ম্যাচের আগে হার্দিক, অক্ষর প্যাটেল, আর্শদীপ সিং, যশপ্রীত বুমরা এবং বরুণ চক্রবর্তী সহ ভারতীয় দলের গোটা বোলিং লাইনআপ যেন আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে। কারণ, তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম।
![]()
সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটে তারকার ছড়াছড়ি। কাকে বাদ দিয়ে কাকে দলে নেওয়া হবে, তা নিয়েই রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন নির্বাচকরা। তাই একাধিক তারকাকে বাদ দিয়েই এবার এশিয়া কাপের দল নির্বাচন করতে হয়েছে। বলা চলে, এশিয়া কাপে খেলা তারকাদের ছাড়াও বাকিরা যারা সুযোগ পেলেন না, তাদের নিয়েও দুটো প্রথম একাদশ তৈরি করে ফেলা সম্ভব।
দলগত সাফল্য আসছে একের পর এক
নিঃসন্দেহে যা বিসিসিআই-এর অন্যতম একটি সাফল্য। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা ছাড়াও এখনও পর্যন্ত যতজন ব্যক্তি প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে, তারা প্রত্যেকে রাজনীতির উর্ধে উঠে কাজ করতে পেরেছেন বলেই এই দলগত সাফল্য আসছে একের পর এক।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল আইপিএল। বিশ্বের অন্যতম সেরা মেগা টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। যা ভারতীয় ক্রিকেটের সাপ্লাইলাইনকে শক্তিশালী করেছে এবং ক্রিকেটারদেরকে ফিটনেস ও মানসিক দিয়েও অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে। আর সবথেকে বড় বিষয় হল, স্কিলের দিক দিয়ে এই মুহূর্তে বিরাট উচ্চতায় পৌঁছে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট। এক্ষেত্রে অবশ্যই বলে রাখা ভালো, বিসিসিআই পরিচালিত ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কথা। গোটা দেশ থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান ক্রিকেটারদেরকে তৈরি করার একটি কারখানা। যা নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেটকে এতটা উন্নত করতে সাহায্য করেছে।
সেই উদাহরণ আছে চোখের সামনেই। অভিষেক শর্মার কথাতেই আসা যাক। ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় মেগা টুর্নামেন্টে খেলতে নামলেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে। আত্মবিশ্বাস এমন জায়গায় ছিল যে, মনেই হল না তিনি নার্ভাস। ঠিক এইভাবেই একেকজন ক্রিকেটারকে তৈরি করে বিসিসিআই। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে, তিনি নেমেই চালাতে শুরু করলেন। ১৬ বলে ৩০ রান এবং পাকিস্তান ম্যাচের আগে বুঝিয়ে দিলেন, তৈরি আছেন।
চারজনই টি-২০ ক্রিকেটে যথেষ্ট অভিজ্ঞ
আন্দাজ করা গেল, শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেনিং জুটি জমে যেতে পারে। কারণ, গিল নিজেও ফর্মে আছে ইংল্যান্ড সিরিজ থেকেই। সেইসঙ্গে, অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা, সঞ্জু স্যামসন এবং রিঙ্কু সিংরা তো আছেনই। এই চারজনই টি-২০ ক্রিকেটে যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং মিডল অর্ডারে দায়িত্ব সামলানোর জন্য একদম প্রস্তত।

ওদিকে আবার জীতেশ শর্মা, হর্ষিত রানাও আছেন। ফলে, রিজার্ভ বেঞ্চও মারাত্মক শক্তিশালী। তাই ধারে ও ভারে পাকিস্তানের থেকে এই মুহূর্তে অনেক এগিয়ে রয়েছে ভারত। ওপেনিং, মিডল-অর্ডার, লোয়ার অর্ডার এবং বোলিং, সব বিভাগেই টেক্কা দিতে তৈরি তারা। তাছাড়া প্রায় ৮ নম্বর অবধি ব্যাট করার প্লেয়ার রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার হাতে।
স্বভাবতই, হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে ভারত যেন আলাদাই মুডে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

