সংক্ষিপ্ত
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআই সভাপতি থাকাকালীনই বিরাট কোহলির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ভারতীয় দলের অধিনায়কের পদ থেকে বিরাটকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে চরমে পৌঁছয় দ্বন্দ্ব।
দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। ইনস্টাগ্রামে তিনি ২৭৬ জনকে ফলো করতেন। তাঁদেরই একজন ছিলেন সৌরভ। কিন্তু এখন বিরাটের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে দেখা যাচ্ছে তিনি ২৭৫ জনকে ফলো করছেন। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গেও বিরাটের সম্পর্ক ভালো নয়। কিন্তু কুম্বলেকে এখনও ইনস্টাগ্রামে ফলো করছেন বিরাট। তিনি সৌরভকে আনফলো করে বুঝিয়ে দিলেন, প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক রাখতে চাইছেন না। বিরাট ও সৌরভের সম্পর্ক নিয়ে রবিবার থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলছে। নানা মিমও দেখা যাচ্ছে। এবার এই বিতর্কে ইন্ধন দিলেন বিরাট।
রবিবার দিল্লি ক্যাপিটালসকে ২৩ রানে হারিয়ে দিয়েছে আরসিবি। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে বা পরে সৌরভের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি বিরাটের। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মিম দেখা যাচ্ছে। সেই মিমে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির ব্যাটারদের খারাপ পারফরম্যান্স দেখে হতাশ ডাগআউট বসে থাকা সৌরভ আর সেদিকে তাকিয়ে হাসছেন বাউন্ডারি লাইনের ধারে ফিল্ডিং করা বিরাট। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দু'দলের সদস্যরা যখন পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন, তখন কৌশলে বিরাটকে এড়িয়ে যান সৌরভ। দিল্লির অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার যখন বিরাটের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন, সেই সময় ওয়ার্নারের পিছন দিয়ে এগিয়ে গিয়ে আরসিবি-র অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন করেন সৌরভ। ওয়ার্নারের সঙ্গে করমর্দন করার পর পিছন ফিরে সৌরভের দিকে তাকান বিরাট। কিন্তু তাঁর দিকে তাকাননি সৌরভ। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের পর ভারতীয় দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিরাটকে। টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে ভারতীয় দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিরাট। কিন্তু বাকি দুই ফর্ম্যাটেও ভারতীয় দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। বিরাটের বদলে ভারতীয় দলের অধিনায়ক করা হয় রোহিত শর্মাকে। এই ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেটে তোলপাড় শুরু হয়। সেই সময় সৌরভ বলেছিলেন, 'বিসিসিআই ও নির্বাচকরা যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিরাটকে টি-২০ দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে না যাওয়ার অনুরোধ করেছিল বিসিসিআই। কিন্তু বিরাট সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি। নির্বাচকদের মনে হয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেটের দুই ফর্ম্যাটে দু'জন আলাদা অধিনায়ক রাখা ঠিক নয়।' এরপর বিসিসিআই সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে বিরাট বলেন, ‘আমি টি-২০ দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করার পর থেকে আমার সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করেনি বিসিসিআই। আমাকে জানানো হয়, আমি আর ওডিআই ফর্ম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে থাকছি না। তখন আমি জবাব দিই, ঠিক আছে। নির্বাচকরা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পর্যন্ত আমি কিছু জানতাম না।’ এরপরেই বিরাট-সৌরভের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়।
আরও পড়ুন-
চুনী গোস্বামীর নামাঙ্কিত গেট উদ্বোধন, সুনীল গাভাসকরের মুখে জয় মোহনবাগান
IPL 2023: বিফলে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের শতরান, মুম্বই ইন্ডিয়ানসের কাছে হার কেকেআর-এর
IPL 2023: ১৫ বছর পর আইপিএল-এ শতরান কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটারের