সংক্ষিপ্ত

বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের ঠিক আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের ওডিআই দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এই ঘটনায় বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে শোরগোল।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মন্তব্যে অপমানিত হয়েই কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করে দিলেন তামিম ইকবাল? বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে এই আলোচনা চলছে। কারণ, বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ওডিআই সিরিজ শুরু হওয়ার আগের দিন একটি সংবাদমাধ্যমে তামিমের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পাপন। বুধবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। এরপর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সাংবাদিক বৈঠকে অবসরের কথা জানিয়ে দেন তামিম। তিনি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ শেষ না করেই সরে গেলেন। ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ডামাডোল তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ ক্রিকেটপ্রেমী তামিমের পাশে দাঁড়িয়ে পাপনকে দোষারোপ করছেন। যদিও দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। সেটা করতে গিয়ে নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন তিনি।

পাপন জানিয়েছেন, 'তামিমের অবসরের সঙ্গে আমার মন্তব্যের কোনও যোগ নেই। একজন ক্রিকেটার ফিট কি না, সেটা সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই জানাতে হয়। ফিট হলে দলে থাকবে, না হলে থাকবে না। কোনও দেশেই এর ব্যতিক্রম হয় না। আমাদের সঙ্গে কথা না বলে তামিম কেন সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলল জানি না। তামিম অবসরের কথা ঘোষণা করেছে জানার পর ওর সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। এরপর ওর দাদা নাফিস ইকবালকে ফোন করি। নাফিসের কাছ থেকেও তামিমের ব্যাপারে কিছু জানতে পারিনি। এরপর নাফিসকেই একটি বার্তা পাঠাই। আমি চাই অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজের বাকি ২ ম্যাচ খেলুক তামিম। এই সিরিজ শেষ হওয়ার পর আমরা আলোচনায় বসতে পারি। তামিমের মতো একজন কিংবদন্তির এভাবে অবসর নেওয়া উচিত নয়। ও বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।'

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির মন্তব্যেই স্পষ্ট, তাঁদের কিছু না জানিয়েই অবসর নিয়েছেন তামিম। এর অর্থ হল, বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে অধিনায়কের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। অতীতে বাংলাদেশের একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটারকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার তামিমকেও অপমান করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ পাপন। উল্টে তাঁর দাবি, ‘ক্রিকেটারদের কী সম্মান দেখাব? ওদের জন্য কী করতে হবে? বাংলাদেশে যদি ক্রিকেটাররা সম্মান না পায়, তাহলে কারা সম্মান পায়? আমি নিয়মিত ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু ওরা যদি এরকম করে, তাহলে কথা বন্ধ করে দিতে হবে।’

আরও পড়ুন-

স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ওডিআই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন নেদারল্যান্ডসের

সচিন, ধোনি, বিরাট নন, সবচেয়ে ধনী ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম হয়তো অনেকেরই অজানা

বার্বাডোসে স্যার গারফিল্ড সোবার্সের সঙ্গে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা