সংক্ষিপ্ত

দেশের মাটিতে অ্যাশেজে বিশেষ সুবিধা করতে পারল না ইংল্যান্ডের বহুচর্চিত 'ব্যাজবল'। বেন স্টোকসের দলকে টেক্কা দিয়ে অ্যাশেজ নিজেদের দখলেই রাখলেন প্যাট কামিন্সরা।

দেশের মাটিতে অ্যাশেজ জিততে পারল না ইংল্যান্ড। চলতি অ্যাশেজের প্রথম ২ ম্যাচ জেতার পর তৃতীয় ম্যাচে হেরে গেলেও, চতুর্থ ম্যাচ ড্র হওয়ায় অ্যাশেজ নিজেদের দখলে রাখল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে টানা অ্যাশেজ নিজেদের দখলে রাখার ক্ষেত্রে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৮৯ থেকে ২০০২-০৩ পর্যন্ত টানা ৮টি অ্যাশেজ জিতেছিলেন মার্ক টেলর, স্টিভ ওয়ারা। তার আগে ১৯৫৮-৫৯ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত টানা ৬টি অ্যাশেজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার ২০১৭-১৮ থেকে টানা ৪ বার অ্যাশেজ জিতলেন প্যাট কামিন্স, স্টিভ স্মিথরা। চলতি অ্যাশেজে ২-১ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ফলে কেনিংটন ওভালে পঞ্চম ম্যাচে জয় পেলেও অ্যাশেজ জিততে পারবে না ইংল্যান্ড।

রবিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্ট ম্যাচের শেষ দিন ইংল্যান্ডের বোলাররা যদি অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে বাকি ৫ উইকেট নিতে পারতেন, তাহলে জেতার আশা থাকত। কিন্তু সেই সুযোগই পেলেন না জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডরা। বেকায়দায় পড়া অস্ট্রেলিয়া শিবির চাইছিল পঞ্চম দিন বৃষ্টি হোক। ঠিক সেটাই হল। ম্যাঞ্চেস্টারে বরাবরই ভালো পারফরম্যান্স দেখায় ইংল্যান্ড। এবার সেখানেই অ্যাশেজে সমতা ফেরানোর আশায় ছিলেন স্টোকসরা। কিন্তু পঞ্চম দিনের খেলা ভেস্তে যাওয়ায় ইংল্যান্ডের আশাভঙ্গ হল।

এই ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৩১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অর্ধশতরান করেন মার্নাস লাবুশেন (৫১) ও মিচেল মার্শ (৫১)। ৪৮ রান করেন ট্রেভিস হেড। ৪১ রান করেন স্মিথ। ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন মিচেল স্টার্ক। ৩২ রান করেন ডেভিড ওয়ার্নার। ইংল্যান্ডের হয়ে ৬২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন ক্রিস ওকস। ৬৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ব্রড। ১ উইকেট করে নেন অ্যান্ডারসন, মার্ক উড ও মইন আলি।

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড করে ৫৯২ রান। ১৮৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন ওপেনার জাক ক্রলি। ৯৯ রান করে অপরাজিত থাকেন জনি বেয়ারস্টো। ৮৪ রান করেন জো রুট। ৬১ রান করেন হ্যারি ব্রুক। ৫৪ রান করেন মইন। ৫১ রান করেন স্টোকস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১২৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড। ৬৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ক্যামেরন গ্রিন। ১৩৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন স্টার্ক। ১২৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন কামিন্স।

দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করে ৫ উইকেটে ২১৪ রান। ১১১ রান করেন লাবুশেন। ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন মার্শ। ২৮ রান করেন ওয়ার্নার। ইংল্যান্ডের হয়ে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন উড। ১ উইকেট করে নেন ওকস ও রুট।

আরও পড়ুন-

ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

ওডিআই বিশ্বকাপের আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর শ্রীলঙ্কার লাহিড়ু থিরিমানের

বিরাট কোহলিকে আলিঙ্গন, আবেগে কান্না ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটার জশুয়া ডা সিলভার মায়ের