সংক্ষিপ্ত

আবার ডার্বি? হ্যাঁ, সত্যিই তাই। ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) শেষ হতেই ফের বেজে যাবে ডার্বির দামামা। কিন্তু এবার কলকাতা নয়, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মাটিতে।

আবার ডার্বি? হ্যাঁ, সত্যিই তাই। ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) শেষ হতেই ফের বেজে যাবে ডার্বির দামামা। কিন্তু এবার কলকাতা নয়, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মাটিতে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের সেই চিরাচারিত লড়াই, অর্থাৎ বড় ম্যাচ এবার অনুষ্ঠিত হবে লখনউতে। কার্যত, নবাবের শহরে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। আগামী ২ সেপ্টেম্বর লখনউয়ের কে.ডি.সিং স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby)।

উত্তরপ্রদেশের মাটিতে প্রথমবারের জন্য মুখোমুখি হবে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল (Mohun Bagan vs East Bengal)। বিষয়টা হচ্ছে, গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুটবল যথেষ্ট জনপ্রিয়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে ফুটবল এখনও ততটা জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। এই কথা বাস্তব যে, গোটা দেশের মানচিত্রে ফুটবলের প্রসারের ক্ষেত্রে কলকাতা ডার্বি অন্যতম বড় একটা ‘ইউএসপি’।

আর ফুটবলের প্রসারের জন্য এহেন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যকে তো ফুটবল মানচিত্রে আনতেই হবে। আর সেই লক্ষ্যেই এবার কাজ শুরু করল উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)।

লখনউতে কলকাতা ডার্বি আয়োজনের পরিকল্পনা মূলত ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের। কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং সেই রাজ্যের ফুটবল কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

রুদ্ধশ্বাস সেমিতে ত্রাতা সেই বিশালই, টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান 

তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় কলকাতার দুই প্রধানও। এই প্রসঙ্গে ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে জানিয়েছেন, “কলকাতার দুই ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব একটি মহৎ উদ্দেশ্য সফল করতে এগিয়ে এসেছে। এই দুই ক্লাবের ইতিবাচক ভূমিকায় আমি ভীষণ খুশি।”

চলতি বছর এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র ডার্বি দেখারই সুযোগ পেয়েছেন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তবে সেটি কলকাতা লিগের। সেখানে অবশ্য ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান, কোনও দলই নিজেদের সেরা একাদশ নামায়নি।

পরবর্তীতে ডুরান্ড কাপের ডার্বি হওয়ার কথা থাকলেও, সেটি বাতিল হয়ে যায়। ফলে, ২ সেপ্টেম্বর লখনউয়ের ডার্বি নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে ফুটবল মহলে। জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের এই ডার্বিতেও সম্ভবত দুই প্রধানের হয়ে কলকাতা লিগে খেলা দলই খেলবে।

আমন্ত্রণমূলক ম্যাচে দলের প্রথম সারির তারকাদের আদৌ খেলানো হবে কিনা, সেই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাছাড়া তার একদিন আগেই রয়েছে ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। যেখানে খেলবে মোহনবাগান। স্বভাবতই, ফুটবলারদের বিশ্রামেরও একটি বিষয় রয়েছে। অন্যদিকে, এই ডার্বি ম্যাচের ঘোষণা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ

'সব ম্যাচই আমাদের জন্য কঠিন', সেমিফাইনাল শেষে আর কী কী জানালেন মোলিনা এবং বিশাল?

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।