সংক্ষিপ্ত
ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে এখনও সুস্থ হননি। তাঁকে হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে। পেলের পুত্র-কন্যারাও হাসপাতালেই থাকছেন।
বড়দিনেও হাসপাতালে ব্রাজিলের কিংবন্তি ফুটবলার পেলে। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। এখন শোনা যাচ্ছে এই কিংবদন্তির শরীরে ক্যান্সার অনেকটা ছড়িয়ে গিয়েছে। ক্যান্সারের চিকিৎসাই চলছে। পেলের পরিবারের লোকজন এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালেই থাকছেন। পেলের মেয়ে কেলি ক্রিস্টিনা ন্যাসিমেন্টো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছেন, বাবার পাশেই হাসপাতালে আছেন। পেলের সঙ্গে ছবি দিয়ে কেলি লিখেছেন, 'আরও একটি রাত আমরা একসঙ্গে কাটাচ্ছি। আমরা এখনও এখানে আছি। আমরা লড়াই চালাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস আছে।' প্রায় এক মাস হয়ে গেল সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি পেলে। সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা তাঁর জন্য প্রার্থনা করছেন। কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন ব্রাজিল দলের সদস্যরাও পেলের জন্য প্রার্থনা করার কথা জানান। ব্রাজিলের সমর্থকরাও পেলের জন্য প্রার্থনা করতে থাকেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সুস্থ হননি পেলে। তাঁকে আরও কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে, সেটা কেউই বলতে পারছেন না।
গত মাসে হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কেমোথেরাপি কাজ না করার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পেলে। তিনি বড়দিনও হাসপাতালেই কাটাচ্ছেন। কেলি জানিয়েছেন, তাঁর বাবার আরও চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পেলের শরীরে ক্যান্সার বেড়ে গিয়েছে। তাঁর কিডনি ও হৃদযন্ত্র কাজ করছে না। সেই কারণে তাঁর আরও চিকিৎসা প্রয়োজন।
গত কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ পেলে। তাঁর মেরুদণ্ড, কোমর, হাঁটু, কিডনির সমস্যা রয়েছে। গত বছর তাঁর কোলন টিউমার অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকেই তাঁর কেমোথেরাপি চলছে। কিন্তু সম্প্রতি কেমোথেরাপি আর কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পেলের মেয়ে কেলি, ছেলে এডিনহো-সহ পরিবারের লোকজন হাসপাতালেই আছেন।
ব্রাজিলের হয়ে ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপ খেলেছেন পেলে। এর মধ্যে ১৯৬৬ ছাড়া বাকি ৩ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। নিজের দেশের ক্লাব স্যান্টোসের হয়েই কেরিয়ারের বেশিরভাগ সময় খেলেছেন পেলে। কেরিয়ারের শেষদিকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব কসমসের হয়ে খেলেন। ফুটবলের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় পেলে। ফিফার বিচারে দিয়েগো মারাদোনার সঙ্গে যুগ্মভাবে গত শতাব্দীর সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন পেলে। মারাদোনা প্রয়াত হয়েছেন। পেলেও এখন অসুস্থ। সেই কারণে সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা উদ্বিগ্ন। সবাই পেলের জন্য প্রার্থনা করছেন। নেইমার জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপের মতো ফুটবলাররাও পেলের জন্য প্রার্থনা করছেন। বড়দিনেও পেলেকে নিয়ে উদ্বেগ দূর হচ্ছে না।
আরও পড়ুন-
বিশ্বকাপ ফাইনালে একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্বীকার রেফারি সাইমন মারচিনিকের
বার্সেলোনায় ফিরছেন না, প্যারিস সাঁ জা-র সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে লিওনেল মেসির
লিওনেল মেসি আদর্শ, বিশ্বজয়ী তারকার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ নোভাক জকোভিচ