সংক্ষিপ্ত

ডুরান্ড কাপ ফাইনালে কলকাতা ডার্বিতে অসাধারণ লড়াই হল। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ম্যাচ বরাবরই উত্তেজক। রবিবারের ম্যাচেও প্রচণ্ড উত্তেজনা ছিল।

আধঘণ্টারও বেশি সময় ১০ জনে খেলতে হলেও, দিমিত্রিওস পেট্রাটসের একমাত্র গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ৬১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অনিরুদ্ধ থাপা। কিন্তু তারপর সবুজ-মেরুন ব্রিগেডেরই দাপট দেখা যায়। বিপক্ষ দলকে ১০ জনে পেয়ে আক্রমণে ঝাঁপানোর বদলে খেলার গতি শ্লথ করে দেন লাল-হলুদ জার্সিধারীরা। ফলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টেরই সুবিধা হয়ে যায়। ৭১ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে বাঁ পায়ের অসাধারণ শটে গোল করেন পেট্রাটস। এই গোল আর শোধ করতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। চলতি মরসুমে এই প্রথম কোনও ম্যাচে হারল ইস্টবেঙ্গল। এদিন জিতে ২০০৪ সালের ডুরান্ড কাপ ফাইনালে হারের বদলা নিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। একইসঙ্গে এবারের ডুরান্ড কাপে প্রথম কলকাতা ডার্বিতে হারের বদলাও নিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যোগ্য দল হিসেবেই এদিন জয় পেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।

এদিন শুরু থেকেই দুর্দান্ত লড়াই হচ্ছিল। ২ দলই আক্রমণ শানাচ্ছিল। তবে খুব বেশি ওপেন হচ্ছিল না। আর্মান্দো সাদিকু এদিন একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। প্রথমার্ধে পেট্রাটসও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। তিনি প্রথমার্ধের শেষদিকে একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধের শেষদিকে ইস্টবেঙ্গলও একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু নন্দকুমারের শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। 

প্রথমার্ধের শেষদিকে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের বোরহা হেরেরা ও সল ক্রেসপো এবং মোহনবাগানের হুগো বুমোস। এরপর হেভিয়ের সিভেরিওকে ফাউল করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন অনিরুদ্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণই বেশি ছিল। কিন্তু এদিন লাল-হলুদের আক্রমণে ভেদশক্তির অভাব ছিল স্পষ্ট। বেশিরভাগ সময়ই একা পড়ে যাচ্ছিলেন সিভেরিও। আক্রমণের সময় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বক্সে ফুটবলারের সংখ্যা বাড়াতে পারছিল না ইস্টবেঙ্গল। সেট-পিসও এদিন একেবারেই ভালো হয়নি। সবুজ-মেরুন রক্ষণ এদিন অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। আনোয়ার আলি, হেক্টর ইয়ুস্তে, শুভাশিস বসু রক্ষণকে ভরসা দেন। গোলকিপার বিশাল কাইথও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেন। তার ফলেই জয় পেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।

এই নিয়ে ১৭ বার ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। গত মরসুমে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার মরসুমের প্রথম ট্রফি জিতল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। অন্যদিকে, হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হল ইস্টবেঙ্গলকে।

আরও পড়ুন-

Mohammedan Sporting Club: ম্যাচ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মহামেডান স্পোর্টিং সমর্থকের মৃত্যু

Sunil Chhetri: অগাস্টের শেষেই সুখবর, পুত্র সন্তানের বাবা হলেন সুনীল ছেত্রী

Lionel Messi : লিওনেল মেসির কেরিয়ারের ৪৪-তম খেতাব, প্রথম ট্রফি ইন্টার মায়ামির