সংক্ষিপ্ত
বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিকেল ৪টেয় শুরু হচ্ছে ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। এই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
প্রস্তুত যুদ্ধক্ষেত্র, তৈরি মহারণে উত্তীর্ণ হওয়া ২ দল। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে কলকাতা ডার্বির জন্য প্রথম একাদশ ঘোষণা করল লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুন শিবির। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশে আছেন- প্রভসুখন গিল, মহম্মদ রাকিপ, লালচুংনুঙ্গা, জর্ডন এলসে, মন্দার রাও দেশাই, হরমনজ্যোত খাবরা (অধিনায়ক), সল ক্রেসপো, বোরহা হেরেরা, নাওরেম মহেশ সিং, নন্দকুমার শেখর ও হেভিয়ের সিভেরিও। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রথম একাদশে আছেন- বিশাল কাইথ, আনোয়ার আলি, হেক্টর ইয়ুস্তে, শুভাশিস বসু (অধিনায়ক), আশিস রাই, অনিরুদ্ধ থাপা, সাহাল আবদুল সামাদ, আশিক কুরুনিয়ান, দিমিত্রিওস পেট্রাটস, হুগো বুমোস ও আর্মান্দো সাদিকু। ২ দলেরই প্রথম একাদশে বদল হয়েছে। কার্ড সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল দলে নেই মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী। তাঁর পরিবর্তে দলে এসেছেন রাকিপ। মোহনবাগানের প্রথম একাদশে নেই জেসন কামিংস ও ব্রেন্ডন হ্যামিল। ২ দলের কোচ পরিবেশ-পরিস্থিতি বিচার করে সেরা প্রথম একাদশ বেছে নিয়েছেন।
ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্যায়ে এবারের মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি হয়েছিল। সেই ম্যাচে নন্দকুমারের একমাত্র গোলে জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ফের মোহনবাগানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া লাল-হলুদ শিবির। ২০০৪ সালে শেষবার ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেবার ফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ২-১ জয় পায় লাল-হলুদ। ১৯ বছর পর ফের ডুরান্ড কাপ ফাইনালে কলকাতা ডার্বি হচ্ছে। গতবারের ফলেরই পুনরাবৃত্তি চাইছে লাল-হলুদ।
অন্যদিকে, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট গত কলকাতা ডার্বিতে হারের বদলা নিতে মরিয়া। হুয়ান ফেরান্দোর দল প্রচণ্ড শক্তিশালী। বিশেষ করে সবুজ-মেরুনের আক্রমণ যেমন বৈচিত্র আছে, তেমনই অভিজ্ঞতাও আছে। ফলে অনেকেই ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে এগিয়ে রাখছেন। তবে কলকাতা ডার্বিতে সাধারণত কোনও দলকে এগিয়ে রাখা যায় না। বহুবার দেখা গিয়েছে খাতায়-কলমে পিছিয়ে থাকা দল বাজিমাত করেছে। গত ডার্বিতেই এগিয়ে থেকে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কিন্তু জয় ছিনিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ফলে এই ম্যাচে কোন দল জিতবে, সেটা আগাম বলা সম্ভব নয়।
ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ১৬ বার করে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবার যে দল জিতবে, তারা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সফলতম দল হয়ে যাবে। সেটা ২ দলের কোচের মাথাতেই আছে। ২ শিবিরই চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া। মরসুমের প্রথম ট্রফি জিতে নিলে আইএসএল-এর আগে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। সেটাই ২ শিবিরের প্রধান লক্ষ্য। তাছাড়া কলকাতা ডার্বি সবসময় সম্মানের লড়াই। এই লড়াইয়ে কোনও দলই হার মানতে নারাজ।
আরও পড়ুন-
Kolkata Derby: ১৯ বছর আগের বদলা নিতে পারবে মোহনবাগান? নাকি ডার্বির মাঠে ফের জ্বলে উঠবে মশাল?
Lionel Messi : লিওনেল মেসির কেরিয়ারের ৪৪-তম খেতাব, প্রথম ট্রফি ইন্টার মায়ামির