সংক্ষিপ্ত

এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিয়েই দলকে কলকাতা ডার্বি জেতালেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। এবার তাঁকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছেন সমর্থকরা।

এবারের ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনা দলের বিরুদ্ধে ৮৭ মিনিট পর্যন্ত ২-০ এগিয়ে থেকেও ২-২ ড্র করে ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচ দেখে অনেক লাল-হলুদ সমর্থকই হতাশ হন। তবে শনিবার ডার্বি জয়ের পর তাঁদের চোখেই আনন্দাশ্রু, মুখে চওড়া হাসি। সমর্থকদের আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছে কোচ-ফুটবলারদেরও। এটাই লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের প্রথম কলকাতা ডার্বি। প্রথম লড়াইয়েই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ধরাশায়ী করে লাল-হলুদ জনতার চোখের মণি হয়ে গিয়েছেন কুয়াদ্রাত। জয়ের পর তাঁর মুখেও উঠে এল সমর্থকদের কথা। সাংবাদিক বৈঠকে বারবার সমর্থকদের কথা উল্লেখ করলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ।

সমর্থকদের জন্য কুয়াদ্রাতের বার্তা, 'এই সপ্তাহের নায়ক ইস্টবেঙ্গল। এই সপ্তাহে অনেককিছু হয়েছে। গত ম্যাচ ড্র হওয়ার পর অনেক কথা হয়েছে। আমরা সবাই হতাশ ছিলাম। এদিনের নায়ক ইস্টবেঙ্গল। সমর্থকরা শুরু থেকেই আমাদের পাশে আছেন। গত ম্যাচে আমরা ১ পয়েন্ট পাওয়ার পরেও সমর্থকরা করতালি দিচ্ছিলেন। আমি খেলোয়াড়দের এটাই বলেছিলাম। গত ম্যাচে কয়েকজন ফুটবলার ক্লান্ত ছিল। তবে এদিন আর কোনও সমস্যা হয়নি।'

গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভা। তিনি শনিবার সকালে কলকাতায় আসেন। ফলে মরসুমের প্রথম ডার্বি খেলতে পারেননি। তবে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। এবারের মরসুমে লাল-হলুদের অধিনায়ক ক্লেইটন। তাঁকে ছাড়াই প্রথম ডার্বি জয় প্রসঙ্গে কুয়াদ্রাত বলেছেন, 'ক্লেইটন আমাদের সঙ্গে আছে। ওর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। দীর্ঘ বিমানযাত্রার ফলে ও ক্লান্ত ছিল। সেই কারণে ওকে খেলানো সম্ভব হয়নি। তবে ও আমাদের সবার সঙ্গে কথা বলেছে। অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে সাহায্য করেছে। ওকে ছাড়াই জয় পাওয়ায় আমরা খুশি।'

এদিন ম্যাচ শেষ হওয়ার পর অনেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক গ্যালারির বেষ্টনী টপকে মাঠে নেমে পড়েন। তাঁরা ফুটবলারদের পা জড়িয়ে ধরেন। সমর্থকদের আবেগ বুঝতে পারছেন। কিন্তু ফুটবলাররা যাতে এই জয়ের আনন্দে ভেসে না যান, সে ব্যাপারে সতর্ক ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁর বার্তা, 'সমর্থকরা খুব খুশি। আমি দেখেছি, অনেক সমর্থকই মাঠে নেমে পড়েছিলেন। আশা করি এই আনন্দ অব্যাহত থাকবে। আমরা এখনও পরের রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি। সমর্থকদের আনন্দের সেই মুহূর্তে আমার খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু সমর্থকরা গ্যালারিতে থেকেই আনন্দ করলে ভালো হয়। আমাদের সবারই সতর্ক থাকা উচিত।'

আরও পড়ুন-

লড়াই করে জয় ইস্টবেঙ্গলের, আত্মতুষ্টিই কাল হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের

নন্দকুমারের অসাধারণ গোল, ১৬৫৮ দিন পর কলকাতা ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের

অভিনব উদ্বোধন! ডুরান্ড কাপের ট্রফি নিয়ে ৬৫ তলা থেকে ঝাঁপ দুই সেনাকর্তার