সংক্ষিপ্ত

সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনা হেরে গেলেও, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের ম্যাচে অভাবনীয় কোনও ফল হল না। সহজ জয়ই পেল ফ্রান্স।

১৯৯৮ সালে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০০২ সালে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সেনেগালের কাছে হেরে গিয়েছিল ফ্রান্স। সেবার একটিও ম্যাচ না জিতে গ্রুপ লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় জিনেদিন জিদানদের। এবার কাতারে অবশ্য প্রথম ম্যাচে অনায়াস জয়ই পেল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শুরুতে পিছিয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ গোল দিল ফ্রান্স। জোড়া গোল করলেন অলিভিয়ের জিরু। একটি করে গোল করলেন অ্যাড্রিয়ান র‍্যাবিয়ত ও কিলিয়ান এমবাপে। ফ্রান্সের ব্যবধান বাড়তে পারত। কিন্তু অসংখ্য সুযোগ নষ্ট হওয়ায় আর গোল হয়নি। দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জেমা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ঠিক আগে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় অনেকেই ফ্রান্সের আক্রমণভাগ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এমবাপে, জিরুরা বুঝিয়ে দিলেন, তাঁরা বেঞ্জেমাকে ছাড়াই ভাল খেলতে তৈরি। এদিন বড় জয় ফরাসিদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। অস্ট্রেলিয়া যথেষ্ট শক্তিশালী দল। তাদের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেয়ে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে অনেকটাই খোলা মনে খেলতে পারবেন আঁতোয়া গ্রিজম্যানরা।

এদিন ম্যাচের শুরুতে অবশ্য বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের একটু চাপে ফেলে দিয়েছিল সকারুজরা। ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় গোল করে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দেন ক্রেগ গুডউইন। এই গোলটাই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের তাতিয়ে দেয়। পিছিয়ে পড়ে পাল্টা আক্রমণে ঝাঁপায় ফ্রান্স। এরই মধ্যে ১৩ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন লুকাস হার্নান্ডেজ। তাঁর বদলে নামেন ভাই থিও হার্নান্ডেজ। ২৭ মিনিটে গোল শোধ করে দেয় ফ্রান্স। র‍্যাবিয়তের গোলের পর আর সমস্যায় পড়তে হয়নি ফরাসিদের। ৩২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান জিরু। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। বিরতির সময় ২-১ গোলে এগিয়েছিল ফ্রান্স। 

দ্বিতীয়ার্ধেও ফ্রান্সের দাপট অব্যাহত থাকে। ৬৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। গত বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এবার প্রথম ম্যাচেই গোল করলেন তিনি। ৭১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন জিরু। এমবাপেরা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ফ্রান্সের জয়ের ব্যবধান বাড়ত।

এদিন বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মতোই খেলল ফ্রান্স। কোচ দিদিয়ের দেঁশ জানিয়েছিলেন, বেঞ্জেমার পরিবর্তে তিনি কোনও স্ট্রাইকারকে দলে নেবেন না। জিরু, এমবাপেরা বুঝিয়ে দিলেন, তাঁরা থাকতে অন্য কোনও স্ট্রাইকারকে ফ্রান্স দলে দরকার নেই। তার চেয়ে রক্ষণ ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ড আরও একটু জমাট করতে পারলে ভাল হয়। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে ফরাসিদের প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক। সেই ম্যাচ জিতলেই নক-আউটে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

আরও পড়ুন-

যৌথ সম্মতিতে সিদ্ধান্ত, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছাড়লেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো

প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হার আর্জেন্টিনা-র, লজ্জায় মুখ ঢাকলেন অধিনায়ক মেসি

পেনাল্টি নষ্ট লেওয়ানডস্কির, মেক্সিকোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র পোল্যান্ডের