সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার রাত বিশ্বকাপের গ্রুপ এইচ-এ ঘানা-উরুগুয়ে ম্যাচ। তার আগে ফের আলোচনায় উরুগুয়ের তারকা লুই সুয়ারেজ।

 

১২ বছর কেটে গিয়েছে, কিন্তু এখনও ঘানার ফুটবলপ্রেমীদের কাছে খলনায়ক হয়ে আছেন লুই সুয়ারেজ। ২০১০ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে গোললাইন থেকে হাত দিয়ে বল বের করে দেন সুয়ারেজ। তিনি হ্যান্ডবল না করলে নিশ্চিত গোল পেত ঘানা এবং হয়তো ম্যাচও জিতে যেত। সুয়ারেজ লাল কার্ড দেখে দলকে বাঁচিয়ে দেন। ঘানা পেনাল্টি পেলেও, গোল করতে ব্যর্থ হন আসামোয়া গিয়ান। এরপর টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে নেয় উরুগুয়ে। শুক্রবার কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ এইচ-এর শেষ ম্যাচে ফের ঘানার মুখোমুখি হচ্ছে উরুগুয়ে। তার আগে ফিরে এসেছে ১২ বছর পুরনো বিতর্ক। সুয়ারেজ অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ওই ঘটনার জন্য ঘানার কাছে ক্ষমা চাইতে রাজি নন। তাঁর দলের স্বার্থে যেটা করা ঠিক বলে মনে হয়েছিল সেটাই করেছিলেন। সুয়ারেজ আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ঘানা পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেনি। এর জন্য তিনি কোনওভাবেই দায়ী নন।

ঘানার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে সুয়ারেজ বলেছেন, 'আমাকে যদি কেউ শয়তান বলে, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। আমি পুরনো কথা ভাবছি না। আমি অতীতের ঘটনা মনে করতে চাই না। ঘানার ফুটবলার পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেনি, আমি না। আমি ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইব না। আমি যদি কোনও ফুটবলারকে এমন ফাউল করতাম যাতে সে চোট পেত, তাহলে ক্ষমা চাইতাম। কিন্তু ঘানার বিরুদ্ধে হ্যান্ড বল করার জন্য আমাকে লাল কার্ড দেখতে হয়েছিল। তারপর যা হয়েছিল, সেটার জন্য আমি দায়ী না। কারণ, আমি পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হইনি। সেদিন সবারই খারাপ লেগেছিল। কিন্তু এখন আমি শুধু দলকে পরের রাউন্ডে নিয়ে যেতে চাই। আমি ওই ঘটনার বদলা নেওয়ার কথা ভাবছিই না। দলকে জেতানোই আমার একমাত্র লক্ষ্য।'

ক্লাব হোক আন্তর্জাতিক কেরিয়ার, বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন সুয়ারেজ। লিভারপুলের হয়ে খেলার সময় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্যাট্রিস এভরার উদ্দেশ্যে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে নির্বাসিত হন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার। এরপর ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ইতালির ডিফেন্ডার জিওর্জিও চিয়েলিনিকে কামড়ে দেন সুয়ারেজ। সেবারও তাঁকে নির্বাসিত হতে হয়। সেই ঘটনার পর অবশ্য আর নতুন করে কোনও বিতর্কে জড়াননি তিনি। কেরিয়ারের শেষদিকে এসে আর কোনও বিতর্ক চাইছেন না এই স্ট্রাইকার। এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ভাল পারফরম্যান্স দেখানোই তাঁর লক্ষ্য।

আরও পড়ুন-

মাত্র ১৮ বছরেই ভেঙে গিয়েছিল দুটি হাত, সেই হাতের দাপটেই নাজেহাল নীল-সাদা জার্সিধারীরা

নেইমার, ড্যানিলোকে ফিট করে তোলার লক্ষ্যে চলছে ক্রিয়োথেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপি

শেষ ম্যাচ না জিতলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় জার্মানির, ড্র করলেই নক-আউটে স্পেন