সংক্ষিপ্ত
প্রত্যাশিতভাবেই আইএসএল ফাইনালে উত্তেজক লড়াই হল। শুরু থেকেই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি-র ফুটবলাররা। শেষপর্যন্ত লড়াই দেখা গেল।
আইএসএল ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরু এফসি-কে ৪-৩ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল এটিকে মোহনবাগান। ফাইনালে প্রাধান্য ছিল সবুজ-মেরুনেরই। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাচ্ছিল। ম্যাচের শুরুতেই বেঙ্গালুরুর তরুণ ফুটবলার শিবশক্তি নারায়ণ চোট পেয়ে উঠে যান। তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামেন সুনীল ছেত্রী। ম্যাচের ১৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেট্রাটস। বক্সের মধ্যে রয় কৃষ্ণর হাতে বল লেগেছিল। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। এরপর ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু মনবীর সিং একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন। হুগো বুমোসও একটি সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথম ৩৫ মিনিট পর্যন্ত বেঙ্গালুরু এফসি-র আক্রমণ ছন্নছাড়া মনে হচ্ছিল। কিন্তু এরপরেই ম্যাচে ফেরেন সুনীল-কৃষ্ণরা। প্রথমার্ধের শেষমুহূর্তে পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। বক্সের মধ্যে বল ছাড়া কৃষ্ণকে লাথি মেরে বসেন শুভাশিস বসু। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। গোল করতে ভুল করেননি সুনীল। এটাই ছিল প্রথমার্ধের শেষ শট। এর আগেই অবশ্য আরও একটি পেনাল্টি পেতে পারত বেঙ্গালুরু। বক্সের মধ্যে বল ছাড়া জাভি হার্নান্ডেজকে আঘাত করেন এটিকে মোহনবাগানের অধিনায়ক প্রীতম কোটাল। কিন্তু সেটি রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। বেঙ্গালুরুর ফুটবলাররা প্রতিবাদ জানালেও কোনও ফল হয়নি।
প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দু'দল গোলের লক্ষ্যে ঝাঁপায়। এটিকে মোহনবাগানের তাগিদই বেশি দেখা যাচ্ছিল। ৬০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন পেট্রাটস। ৭৮ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন কৃষ্ণ। পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফেরে এটিকে মোহনবাগান। ৮৪ মিনিটে দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় সবুজ-মেরুন। ফের গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান পেট্রাটস। এই পেনাল্টি নিয়েও অবশ্য বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বেঙ্গালুরু শিবিরের দাবি, পেনাল্টি ছিল না। সংযোজিত সময়ে বাইসাইকেল কিকের চেষ্টা করেন সুনীল। কিন্তু পায়ে-বলে ঠিকমতো সংযোগ হয়নি। এরপর গোললাইন সেভ করে বেঙ্গালুরুকে বাঁচিয়ে দেন প্রবীর দাস। নির্ধারিত সময়ে আর গোল হয়নি। ফলে ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ২-২ গোলে। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই সুনীলের ফ্রি-কিক থেকে উদান্তা সিংয়ের হেড বাইরে চলে যায়। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে পেট্রাট্রসের ক্রস থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে হেড করেন মনবীর। শেষদিকে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন পেট্রাটস। তাঁর শট ধরতে গিয়ে পা ফস্কান বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু। বল তাঁর হাত থেকে ছিটকে বাইরে চলে যায়। এরপর টাইব্রেকারে বাজিমাত করেন এটিকে মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ। তিনি ব্রুনো র্যামিরেজের শট সেভ করে দেন। পাবলো পেরেজের শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ফলে চ্যাম্পিয়ন এটিকে মোহনবাগান।
আরও পড়ুন-
'আমি বয়স দেখি না', রোনাল্ডোকে ফের জাতীয় দলে ডেকে বার্তা পর্তুগালের নতুন কোচের
লিওনেল মেসিকে বছরে ১৯৪ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব দিচ্ছে সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল
হাওড়া ইউনিয়নের শতবর্ষ, ক্লাব তাঁবুতে বিশেষ অনুষ্ঠানে সৌরভ, গুরবক্স, সম্বরণ