সংক্ষিপ্ত
আইএসএল সেমি ফাইনালের প্রথম লেগের মতোই দ্বিতীয় লেগেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল। অ্যাওয়ে ম্যাচে যেমন অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল, হোম ম্যাচেও তেমনই খেলল এটিকে মোহনবাগান।
ঘরের মাঠে টাইব্রেকারে গতবারের চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি-কে হারিয়ে আইএসএল ফাইনালে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান। টাইব্রেকারে এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে ফল ৪-৩। শেষ শট নেন সবুজ-মেরুন অধিনায়ক প্রীতম কোটাল। তাঁর শট জালে জড়িয়ে যেতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গ্যালারি। ভারতীয় ফুটবলের আইকন বাইচুং ভুটিয়াও ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন। গ্যালারিতে তাঁকেও উত্তেজিত মনে হচ্ছিল। আক্রমণ বা গোলের সুযোগ তৈরি হলে আগ্রহ নিয়ে সেদিকে তাকাচ্ছিলেন বাইচুং। সহজ সুযোগ নষ্ট হলে তাঁকে আফশোস করতেও দেখা যাচ্ছিল। শেষপর্যন্ত এটিকে মোহনবাগান জয় পাওয়ায় খুশি বাইচুং। এদিন ৫২ হাজারেরও বেশি দর্শক গিয়েছিলেন বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। তাঁরা সবাই খুশিমনে বাড়ি ফিরছেন। যোগ্য দল হিসেবেই জয় পেয়েছে এটিকে মোহনবাগান। হায়দরাবাদ জেতার মতো খেলেনি। শেষদিকে মনে হচ্ছিল কোনওরকমে সময় কাটিয়ে চাইছেন হায়দরাবাদের ফুটবলাররা। জয়ের তাগিদ ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের। সেই কারণেই জয় পেল হুয়ান ফেরান্দোর দল। শনিবার, ১৮ মার্চ আইএসএল ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসি-র মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান।
হায়দরাবাদে গিয়ে আইএসএল সেমি ফাইনালের প্রথম লেগ ড্র করে এসেছিল মেরিনার্সরা। সোমবার দ্বিতীয় লেগেও নির্ধারিত সময়ে গোল হয়নি। গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। ২৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মনবীর সিংয়ের বাঁ পায়ের শট বারে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হুগো বুমোসের বাঁ পায়ের শট কোনওরকমে সেভ করে দেন হায়দরাবাদের গোলকিপার। শেষদিকে দিমিত্রিয়স পেট্রাটসের ফ্রি-কিক থেকে স্লাভকো ডেমানোভিচের হেড অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। হায়দরাবাদও কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল বটে, কিন্তু ওগবেচেদের আক্রমণে ভেদশক্তির অভাব ছিল। বিশেষ করে ওগবেচে একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। তিনি একবারও ওপেন করতে পারেননি।
এক্সট্রা টাইমের খেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই গুটিয়েছিল হায়দরাবাদ। নিখিল পূজারিরা ম্যাচ টাইব্রেকারে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এটিকে মোহনবাগান অবশ্য গোলের চেষ্টা করছিল। এক্সট্রা টাইমের প্রথমার্ধে নামতের শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়।
টাইব্রেকারে হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম শটে গোল করেন হোয়াও ভিক্টর। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে প্রথম শটে গোল করেন পেট্রাটস। এরপর হেভিয়ার সিভেরিওর শট সেভ করে দেন সবুজ-মেরুন গোলকিপার বিশাল কাইথ। সবুজ-মেরুনকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন ফেডেরিকো গ্যালেগো। এরপর ওগবেচের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৩-১ করে দেন মনবীর সিং। হায়দরাবাদের হয়ে ব্যবধান কমান রোহিত দানু। এরপর ব্রেন্ডন হ্যামিলের শট বাইরে চলে যায়। পঞ্চম শটে হায়দরাবাদের হয়ে গোল করেন রিগান সিং। এরপর প্রীতম গোল করে দলকে ফাইনালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন-
লা লিগায় রেফারিং বিতর্ক অব্যাহত, অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিরুদ্ধে ১-০ জয় বার্সেলোনার
সৌদি প্রো লিগে আল-ইত্তিহাদের কাছে হার, 'মেসি-মেসি' স্লোগান শুনতে হল রোনাল্ডোকে
হাওড়া ইউনিয়নের শতবর্ষ, ক্লাব তাঁবুতে বিশেষ অনুষ্ঠানে সৌরভ, গুরবক্স, সম্বরণ