সংক্ষিপ্ত
এবারের কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তবে কলকাতা ডার্বি বাকি ছিল। বৃহস্পতিবার সেই ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও, দল নামাল না মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বরের পর ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর, ৭ বছরের ব্যবধানে ফের কলকাতা ডার্বিতে মাঠে নামল না মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। বৃহস্পতিবার নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্সে কলকাতা ডার্বি হওয়ার কথা ছিল। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পক্ষ থেকে অবশ্য আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আইএফএ-র সঙ্গে মতবিরোধের জেরে এই ম্যাচে দল নামানো হবে না। তবে মাঠে না গেলে ওয়াকওভার পাওয়া যাবে না বলে যথারীতি দল পাঠায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথম একাদশ ও রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা ফুটবলারদের নামও ঘোষণা করা হয়। এদিন লাল-হলুদের প্রথম একাদশে ছিলেন আদিত্য পাত্র, সঞ্জীব ঘোষ, অতুল উন্নীকৃষ্ণন (অধিনায়ক), রাহুল নস্কর, নিরঞ্জন মণ্ডল, নসিব রহমান, তন্ময় দাস, দীপ সাহা, মহম্মদ রোশল পি পি, মহীতোষ রায় ও জেসিন টি কে।
কল্যাণীর পর নৈহাটিতে ওয়াকওভার
২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতা লিগের ডার্বি হওয়ার কথা ছিল কল্যাণী স্টেডিয়ামে। সেবারও দল পাঠায়নি সবুজ-মেরুন। এবার কল্যাণীর অদূরেই নৈহাটিতে একই ঘটনা দেখা গেল। লিগের নিরিখে এই ম্যাচ গুরুত্বহীন হলেও, কলকাতা ডার্বি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মরসুমে এটি ছিল তৃতীয় ডার্বি। ডুরান্ড কাপে গ্রুপের ম্যাচে নন্দকুমার শেখরের গোলে জয় পায় ইস্টবেঙ্গল। ফাইনালে দিমিত্রিওস পেট্রাটসের গোলে জয় পায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। বৃহস্পতিবার তৃতীয় ডার্বি হল না। তবে আইএফএ-র পক্ষ থেকে এখনও সরকারিভাবে ওয়াকওভারের কথা জানানো হয়নি।
কী করবে আইএফএ?
অপেক্ষা করার পরেও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দল মাঠে না আসায় ম্যাচ কমিশনার সুনন্দ কুমার বসু জানিয়েছেন, 'নিয়ম অনুযায়ী মোহনবাগান দল না আসায় প্রথম ৩০ মিনিট ম্যাচ স্থগিত রাখা হয়। তারপর আরও ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেছি আমরা। মোহনবাগানের পক্ষ থেকে আমাদের কোনও খবর দেওয়া হয়নি। এই ম্যাচ স্থগিত বা পরিত্যক্ত হয়ে রইল। কী কারণে ম্যাচ হল না আমরা জানি না। সরকারিভাবে আমার পক্ষে ওয়াকওভার বলা সম্ভব নয়। লিগ পরিচালন কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর আই লিগে কলকাতা ডার্বির প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর আর মাঠে নামেনি মোহনবাগান। সেই ম্যাচে গ্যালারি থেকে সমর্থকদের ছোড়া ঢিলে মারাত্মক চোট পান মোহনবাগানের তারকা সৈয়দ রহিম নবি। লাল কার্ড দেখেন মোহনবাগান স্ট্রাইকার ওডাফা ওকেলি। তারপর ২০১৬ সাল এবং এবার ম্যাচের দিন দলই পাঠাল না সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা কটাক্ষ করছেন, 'ঐতিহ্য বজায় রেখে পালিয়ে গেল মোহনবাগান।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Mohun Bagan Super Giant: ওড়িশার বিরুদ্ধে ৫ গোল হজম, এএফসি কাপে ধাক্কা মোহনবাগানের
East Bengal: এগিয়ে গিয়েও চেন্নাইয়িনের সঙ্গে ড্র, ইস্টবেঙ্গলের রোগ সারছে না
Mohun Bagan Super Giant: এএফসি কাপে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হার মোহনবাগানের