সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০৪-তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে ছিলেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতী ব্যক্তিরা।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০৪-তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ক্রীড়াজগতের তারকারাই শুধু নন, ছিলেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সচিব স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। এছাড়া শিল্পপতি চন্দ্রশেখর ঘোষ, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিৎ বসু, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিমও ছিলেন। এবারই প্রথম বাংলাদেশের অতিথিরাও ছিলেন। প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার মোনেম মুন্নার স্ত্রী ইয়াসমিন মোনেম ও পুত্র আজমান সালিদ, প্রাক্তন ফুটবলার শেখ মহম্মদ আসলাম, মহম্মদ গোলাম ঘাউসও এই অনুষ্ঠানে ছিলেন। অপর এক প্রাক্তন ফুটবলার রিজভি করিম রুমি কানাডায় থাকায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। মুন্নার স্ত্রীকে 'আত্মজন স্মৃতি' এবং আসলাম, রুমি ও ঘাউসকে 'আত্মজন প্রীতি' সম্মান দেওয়া হয়। বাংলাদেশের ক্লাব আবাহনী ক্রীড়াচক্রর পক্ষ থেকে লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রাক্তন সভাপতি হারুনুর রশিদকেও 'আত্মজন প্রীতি' সম্মান দেওয়া হয়। বাংলাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মেহরিন মাহমুদ এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তাঁকেও সংবর্ধনা দেয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
এই অনুষ্ঠানে লাল-হলুদের ইতিহাস তুলে ধরেন স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। তিনি সমর্থকদের ক্লাব প্রীতি, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দর ফুটবল খেলার প্রতি অনুরাগের কথাও বলেন স্বামী সুবীরানন্দ। তিনি স্বামীজির বিখ্যাত উক্তির কথা উল্লেখ করেন। স্বামীজি বলেছিলেন, 'গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমরা স্বর্গের আরও নিকটবর্তী হইবে।' সে কথাই উল্লেখ করেন স্বামী সুবীরানন্দ। তিনি আরও জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়ারা ফুটবল খেলছেন। এবারের কলকাতা লিগেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলছেন রামকৃষ্ণ মিশনের ২ পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে অভিষেক কুঞ্জম সোমবারই উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিরুদ্ধে অসাধারণ গোল করে নজর কেড়ে নেন।
এদিন ব্যোমকেশ বসু মেমোরিয়াল জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হয় প্রাক্তন গোলকিপার তরুণ বসুকে। ডাঃ রমেশ চন্দ্র (নসা) সেন মেমোরিয়াল জীবনকৃতি সম্মান পেলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার অরূপ ভট্টাচার্য। ভারত গৌরব সম্মান দেওয়া হয় বিশিষ্ট শিল্পপতি রতন টাটাকে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি আসতে পারেননি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে মুম্বইয়ে গিয়ে তাঁকে সম্মানিত করা হবে।
ইস্টবেঙ্গলের কোচ, ফুটবলাররাও এই অনুষ্ঠানে ছিলেন। জীবন চক্রবর্তী মেমোরিয়াল বছরের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় পুরস্কার পান ফুটবলার মহেশ সিং নাওরেম। বনোয়ারীলাল রায় মেমোরিয়াল বছরের সেরা ফুটবলার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ক্লেইটন সিলভাকে। এই ফুটবলার অবশ্য এখনও কলকাতায় এসে পৌঁছতে পারেননি।
আরও পড়ুন-
East Bengal Foundation Day : ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবসে চাঁদের হাট
'পরিবারের পক্ষ থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি,' বললেন মুন্নার স্ত্রী
একজন ক্যান্সারে আক্রান্ত, অপরজন দৃষ্টিহীন, সমর্থকদের বিশেষ সম্মান ইস্টবেঙ্গলের