সংক্ষিপ্ত
হরিয়ানার সোনিপতে (Sonipat, Hariyana) অজানা আততায়ীদের গুলিতে নিহত জাতীয় স্তরের মহিলা কুস্তিগীর নিশা দাহিয়া (Nisha Dahiya)। ভাইরাল হওয়া খবরটি সত্যি তো?
দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে খবরটা। একের পর এক চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীর তৈরির জন্য বিখ্যাত, হরিয়ানার (Haryana) সোনিপতেই নাকি, বুধবার অজানা আততায়ীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন সদ্য অনূর্ধ্ব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জজয়ী মহিলা কুস্তিগীর নিশা দাহিয়া (Wrestler Nisha Dahiya) এবং তাঁর ভাই সুরজ দাহিয়া। এমনকী বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও দাবি করা হয়েছে, সোনিপতের (Sonipat) হালালপুরে বাড়ি ফেরার পথে তাদের উপর হামলা হয়। প্রতিবেদনগুলিতে বলা হয়েছে, নিশার মা ধনপতিও ঘটনায় আহত হয়েছেন এবং তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সত্যিই কি তাই, আততায়ীতের গুলিতে কি সত্যিই এই প্রতিশ্রতিমান কুস্তিগীরের প্রাণ গেল?
বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিশার মাকে রোহতকের পিজিআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাঁর চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে নিশা দাহিয়া এবং তাঁর ভাই সুরজের মৃতদেহ সোনিপতের সিভিল হাসপাতালে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। এমনকী পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং গুলি করার কারণ এখনও অজানা বলেও দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শিউরে উঠেছে ক্রীড়া মহল। সেই সঙ্গে প্রশ্নও উঠেছে, ঘটনাটি সত্যি?
আরও পড়ুন - Natasa Stankovic - ভারত ছিটকে যেতেই হার্দিকের বউয়ের তুমুল নাচ, ফ্যানরা বলল পাকিস্তানি
আরও পড়ুন - T20 WC 2021 - ফেভারিট হয়েও কেন ব্যর্থ হল ভারত, কোথায় ভুল করল কোহলি-বাহিনী - ময়নাতদন্ত
এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকেও ঘটনার সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা চলছিল। এরমধ্যে কুস্তিগীর নিশা দাহিয়া স্বয়ং ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও প্রকাশ করে, অজানা আততায়ীদের গুলিতে তাঁর ও তাঁর ভাই সুরজের মৃত্যুর খবর ভুয়ো বলে দাবি করেছেন। ভিডিওতে, তাঁকে অলিম্পিক পদকজয়ী রেসলার সাক্ষী মালিকের পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত জাতীয় প্রতিযোগিতা খেলতে তিনি গোন্ডায় রয়েছেন। সোনিপতে তাঁকে কেউ গুলি করেনি। তিনি একেবারেই সুস্থ আছেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই, সার্বিয়ার বেলগ্রেডে অনূর্ধ্ব-২৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ কুস্তিতে, ৬৫ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন নিশা দাহিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্যান্য মহিলা কুস্তিগীরদের সঙ্গে নিশারও দারুণ প্রশংসা করেছিলেন। তাঁদের স্পেশাল পারফরম্যান্স ভারত জুড়ে কুস্তিকে আরও জনপ্রিয় হয়ে করে তুলবে বলে জানিয়েছিলেন।
"
২০১৪ সালে নিশা, শ্রীনগরে ন্যাশনাল ক্যাডেট চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। ওই বছরই কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক পদক জিতেছিলেন, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৪-র ৪৯ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ। পরের বছর ৬০ কেজি বিভাগে রৌপ্যপদকও জিতেছিলেন। ২০১৫ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জেতার পরই অবশ্য নিষিদ্ধ ওষুধ গ্রহণের দায়ে, নিশাকে চার বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেতে হয়েছিল। রেলওয়ের চাকরির সুযোগও হারিয়েছিলেন। তারপর আবার কুস্তিতে ফিরে এসেছেন তিনি।
পরে অবশ্য হরিয়ানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোনিপতে নিশা দাহিয়া নামে এক মহিলা কুস্তিগীর এবং তাঁর ভাইকে সত্যিই গুলি করা হয়েছে। তবে সেই নিশা দাহিয়া আর ব্রোঞ্জজয়ী নিশা দাহিয়া এক ব্যক্তি নন। কাজেই এই খবরটি পুরোপুরি ভুয়ো বলা যাবে না। নাম ও পেশা এক হওয়ার কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।