শুরু হয়ে গিয়েছে অলিম্পিক। বিশ্বসেরা এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যেন আদতে এক বিশ্ব মহামিলনের স্থান। যার মূল উদ্দেশ্য-ই শান্তি এবং একে অপরের সঙ্গে সম্প্রীতির ঐক্য বজায় রেখে বাস করা। অলিম্পিক যে তার আদর্শ থেকে কোনওভাবেই কোনও দিন সরে আসেনি সে কথা উদ্বোধনী মঞ্চে বারবার বলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা। যার ফলে অতিমারির এই সঙ্কটে যখন মানব সভ্যতা আতঙ্কগ্রস্ত এবং ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে তখনও অলিম্পিক মানচবতার জয়গানের পক্ষে সওয়াল করছে। অলিম্পিক আসলে বিশ্ব মানব সভ্যতার এক শক্তি, এক আশা এবং এক উদ্যোম।
রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি অনুযায়ী পৃথিবীতে দেশের সংখ্যা ১৯৩টি। তাহলে টোকিও অলিম্পিকে কীকরে ২০৫টি দল অংশ নিচ্ছে?
দিনটা ১৯৯৪ সালের ৮ই অগাস্ট, মণিপুরের ইম্ফলের নংবক কাকচিং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাঁইখোম মীরাবাই চানু। সেখানেই বেড়ে ওঠা তাঁর। মাত্র ১২ বছর বয়সে ওয়েটলিফটিংয়ের প্রশিক্ষণ শুরু করেন চানু। জাতীয় স্তরে ২০১৪ সালে প্রথম সাফল্য পান। তারপরেই অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় তাঁর। ২০১৬ -র রিও অলিম্পিকে জয়ী হতে না পারলেও থামেনি লড়াই। ২০১৭ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন মীরাবাঈ চানু। ৪৮ কেজি ওজন তুলে ভরত্তোলনে সোনা জিতেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমেও সোনা জেতেন তিনি। ২০২০ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন। মীরাবাঈ চানু -র সেই স্বপ্নই পূরণ হল টোকিও অলিম্পিক্সে। ভরত্তোলনে ৪৯ কেজি বিভাগে রূপো জিতলেন মীরাবাঈ চানু। টোকিও অলিম্পিক্সে এটাই প্রথম পদক ভারতের। পদক জিতে দেশকে গর্বীত করলেন তিনি।
শনিবার ঐতিহাসিক অলিম্পিক রৌপ্য পদক জয়ের মঞ্চে নজর কাড়ল মীরাবাই চানু-র কানের দুলও। এই বিশেষ দুল-জোড়ার পিছনে কী কাহিনি রয়েছে, বললেন মা।
টেবিল টেনিসে মহিলা সিঙ্গেলসে জয় পেল মনিকা বত্রা ও সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়। স্ট্রেট সেটে ব্রিটেনের প্রতীদ্বন্দ্বীকে হারালেন মনিকা। অপরদিকে রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে সুইডেনের প্রতিপক্ষকে হারালেন সুতীর্থা।
১০ মিটার এয়ার পিস্তলের ফাইনাল হতাশ করলেন শুটার সৌরভ চৌধরি। সপ্তম স্থানে শেষ করলেন তিনি। অপরদিকে তিরন্দাজির মিক্সড ডাবলসের কোয়ার্টারে ফাইনালে হার দীপিকা কুমারি ও প্রবীণ যাদবের।
টোকিও অলিম্পিকের প্রথম দিনই ভারোত্তলনে ৪৯ কেজি বিভাগে রুপো জিতেছেন সাইখোম মিরাবাই চানু। নরেন্দ্র মোদী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর, সুনীল ছেত্রী থেকে বলি তারকারা সকলেই উচ্ছ্বসিত - কে কী বললেন?
টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক ভারতের। ভারোত্তলন বিভাগে রূপো দিতেলেন মীরাবাঈ চানু। মোট ২১২ কেজি ভারোত্তলন করেন তিনি। একইসঙ্গে ইতিহাস তৈরি করলেন তিনি। জয়ের পর আবেগঘনভাবে নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন মীরাবাঈ চানু।
রিও অলিম্পিকে অধরা থেকে গিয়েছিল স্বপ্ন। কিন্তু হার না মানা জেদে সেই স্বপ্ন পূরণ হল টোকিও অলিম্পিকে। ভারত্তোলনেপ ৪৯ কেজি বিভাগে রূপো জিতে দেশকে গর্বিত করলেন মীরাবাঈ চানু। ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে ৬৯ কেজি বিভাগে কর্ণম বালেশ্বরীর হাত ধরে ভারোত্তলনে ভারতের ঘরে এসেছিল ব্রোঞ্জ পদক। দীর্ঘ ২১ বছর পর সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটল মীরাবাঈ চানুর হাত ধরে। দেশের এই গর্বের দিনে জানু মীরাবাই চানুর লড়াইয়েরলকাহিনি।
টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক ভারতের। ভারোত্তলন বিভাগে রূপো দিতেলেন মীরাবাঈ চানু। মোট ২১২ কেজি ভারোত্তলন করেন তিনি। একইসঙ্গে ইতিহাস তৈরি করলেন তিনি।