সংক্ষিপ্ত
দিল্লি পুলিশ এখনও যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে গ্রেফতার করেনি। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
যন্তর মন্তরে কুস্তিগীরদের অবস্থানের শুরু থেকেই সমর্থন জানিয়েছিল কৃষকদের সংগঠন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন ও খাপ পঞ্চায়েত। যন্তর মন্তর থেকে কুস্তিগীরদের জোর করে সরিয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ইন্ডিয়া গেটে অনশনের অনুমতিও দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের বিকল্প পথের কথা ভাবছে খাপ পঞ্চায়েত ও কৃষকদের সংগঠন। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের টাপ্পাল থানা এলাকায় কৃষকদের মহা পঞ্চায়েতে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত বলেছেন, ‘কুস্তিগীররা যাতে সুবিচার পান সেটা নিশ্চিত করার জন্য খাপের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও সরকারের সঙ্গে দেখা করবেন। এই সমস্যার সমাধান বের করাই আমাদের লক্ষ্য। খাপ ও মহিলা কুস্তিগীরদের দমিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের লড়াই চলবে। শুক্রবার কুরুক্ষেত্রে খাপের আরও একটি বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে আন্দোলনের ব্যাপারে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মঙ্গলবার যখন কুস্তিগীররা উত্তরাখণ্ডের পবিত্র তীর্থস্থান হরিদ্বারে গঙ্গায় পদক বিসর্জন দিতে যান, তখন সেখানে পৌঁছে যান ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সভাপতি নরেশ টিকাইত। তিনি সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগটদের নিরস্ত করেন। তাঁদের কাছ থেকে ৫ দিন সময় চেয়ে নেন নরেশ। তিনি বলেন, খাপ পঞ্চায়েত ও কৃষকদের সংগঠনের নেতারা আলোচনা করে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবেন। সেই অনুযায়ী কৃষকদের মহা পঞ্চায়েতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব রাজ্য থেকে যোগ দেওয়া খাপ নেতারা নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন। এরপরেই দেশজুড়ে কুস্তিগীরদের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হরিয়ানার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘কুস্তিগীরদের বিষয়ে নীরব দর্শক হিসেবে থাকা উচিত নয় হরিয়ানার বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলা উচিত হরিয়ানা সরকারের। কুস্তিগীররা দেশকে সম্মান এনে দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সুবিচার দেওয়া হচ্ছে না।’
বিজেপি সাংসদ মানেকা গান্ধীও কুস্তিগীরদের আন্দোলন সমর্থন করেছন। তিনি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, কুস্তিগীররা শেষপর্যন্ত সুবিচার পাবে।’
ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং অবশ্য দেশজোড়া আন্দোলনের মুখেও দমতে নারাজ। মহিলা কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে বারবার দাবি বদল করার অভিযোগ এনেছেন ব্রিজভূষণ। তাঁকে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার না করায় জোর পেয়ে গিয়েছেন। সেই কারণেই কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আনছেন ব্রিজভূষণ। কুস্তিগীরদের আন্দোলন অবশ্য চলছে।
আরও পড়ুন-
ময়দানে মোমবাতি মিছিল, ২ কুস্তিগীরকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে গ্রেফতার করার মতো প্রমাণ নেই, দাবি দিল্লি পুলিশের
আর্থিক সমস্যায় চিকিৎসা করাতে পারছেন না, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি পিয়ালির