- Home
- Sports
- Other Sports
- কোন পথে বাংলার ক্রীড়া সংস্কৃতি? ধ্যানচাঁদের জন্মদিবসে দিশা দিলেন মেহতাব, নবাব, স্নেহাশিসরা
কোন পথে বাংলার ক্রীড়া সংস্কৃতি? ধ্যানচাঁদের জন্মদিবসে দিশা দিলেন মেহতাব, নবাব, স্নেহাশিসরা
Sports Conclave: কলকাতাকে বলা হয় খেলার শহর। এই শহরে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, টেনিস-সহ নানা খেলা জনপ্রিয়। বাংলায় খেলার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি, খেলায় উন্নতির জন্য কী করণীয়? সে বিষয়েই জাতীয় ক্রীড়া দিবসে এক আলোচনাসভায় নানা মত উঠে এল।

জাতীয় ক্রীড়া দিবসে কলকাতায় বাংলার প্রথম স্পোর্টস কনক্লেভ 'স্কোরবুক ২০২৫'
বাংলার প্রথম স্পোর্টস কনক্লেভ
শুক্রবার ছিল জাতীয় ক্রীড়া দিবস। হকির জাদুকর মেজর ধ্যানচাঁদের জন্মদিবসে কলকাতার রোটারি সদনে আয়োজন করা হয়েছিল বাংলার প্রথম স্পোর্টস কনক্লেভ ‘স্কোরবুক ২০২৫’। প্রাক্তন খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক-সহ নানাভাবে খেলার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই আলোচনাসভায় যোগ দেন। বাংলার ক্রীড়া সংস্কৃতি, ভবিষ্যতে বাংলার খেলার উন্নতি-সহ নানা বিষয়ে আলোচনা হল। সবাই বাংলার খেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাপ্রকাশ করলেন।
KNOW
বাংলার প্রথম স্পোর্টস কনক্লেভে ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব হোসেন
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন মেহতাব
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি, জাতীয় দলের প্রাক্তন মিডফিল্ডার মেহতাব হোসেনও শুক্রবার ‘স্কোরবুক ২০২৫’-এ যোগ দেন। তিনি দীর্ঘ ফুটবলার জীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। বাংলায় ক্রীড়া সংস্কৃতি কেমন, খেলোয়াড়দের কী কী সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়, কীভাবে বাংলার খেলার উন্নতি করা সম্ভব, সেসব নিয়ে নিজের মতামত জানালেন এই প্রাক্তন ফুটবলার।
সিএবি সভাপতি ও প্রাক্তন ক্রিকেটার স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন
কী বললেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়?
‘স্কোরবুক ২০২৫’-এ যোগ দেন সিএবি সভাপতি ও প্রাক্তন ক্রিকেটার স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলার হয়ে খেলেছেন। বেশ কিছুদিন ধরে ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত স্নেহাশিস। তিনি সিএবি সভাপতি হিসেবে একাধিক বড় প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব সামলেছেন। শুক্রবার স্পোর্টস কনক্লেভে সেসব অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন স্নেহাশিস।
খেলায় অন্যতম কলঙ্কিত বিষয় হল ডোপিং, স্পোর্টস কনক্লেভে সে বিষয়েও আলোচনা হল
কীভাবে ঠেকানো যায় ডোপিং?
শুক্রবার স্পোর্টস কনক্লেভের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় ছিল ডোপিং। এ বিষয়ে আলোচনা করেন ডোপ কন্ট্রোল অফিসার বিজন কুমার দাস। তিনি জাতীয় ডোপ-বিরোধী সংস্থার (নাডা) ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ডোপিংয়ের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা, ছোট থেকে পেশাদার হয়ে ওঠা পর্যন্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে ডোপিং না করে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া, শিক্ষা, ডোপিংয়ের বিষয়ে নজরদারি চালানো, ডোপিংয়ের বিষয়ে নীতির বিষয়ে আলোচনা করেন বিজন।
বাংলায় ক্রীড়া পর্যটনের উন্নতি কোন পথে সম্ভব? আলোচনায় প্রশাসনিক কর্তারা
বাংলায় ক্রীড়া পর্যটন
‘স্কোরবুক ২০২৫’-এ ছিলেন কলকাতা মেট্রোরেলের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ, রাজ্য সরকারের প্রাক্তন ডেপুটি ক্রীড়া সচিব সুদীপ নাগ, সহকারী অধ্যাপক সৈকত মজুমদার, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মিডিয়া ম্যানেজার পারিজাত মিত্র। তাঁরা ক্রীড়া পর্যটন ও প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া যে খেলায় উন্নতি সম্ভব নয়, সে বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

