সংক্ষিপ্ত

প্যারিস অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) যেন শুরু থেকেই বিতর্কিত। সেই স্যেন নদী ঘিরে চর্চা রীতিমতো তুঙ্গে। যে নদীতে দীর্ঘদিন ধরে কেউ সাঁতার কাটেনি, সেই নদীতেই এবার অলিম্পিক্সের উদ্বোধন হতে চলেছে।

প্যারিস অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) যেন শুরু থেকেই বিতর্কিত। সেই স্যেন নদী ঘিরে চর্চা রীতিমতো তুঙ্গে। যে নদীতে দীর্ঘদিন ধরে কেউ সাঁতার কাটেনি, সেই নদীতেই এবার অলিম্পিক্সের উদ্বোধন হতে চলেছে।

প্রসঙ্গত, স্যেন নদীর জল গত ২ মাসে একাধিকবার পরীক্ষা করা হয়েছে। সপ্তাহে অন্তত দু-তিন বার ব্যাক্টেরিয়ার স্তর খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। সবথেকে বেশি আতঙ্কের বিষয় হল, গত ৩ জুন থেকে যতবার এই নদীর জল পরীক্ষা করা হয়েছে, ততবারই স্যেন নদীর জল সম্পূর্ণ দূষিত হওয়ারই প্রমাণ মিলেছে। এমনকি, শহরের মেয়র ইদালগো নিজে সাঁতার কেটে দেখানোর পরেও কোনও কোনও প্রতিযোগী তাদের দেশের সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রশ্ন তুলেছেন, “মুখ বন্ধ করে কী ভাবে সাঁতার কাটা যায়? নাকি মাস্ক পরে নামব?”

গেমসের উদ্বোধনে এসেও নদীর জল যে নিরাপদ, তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ উদ্যোক্তারা। ফলে, আতঙ্ক কাটছে না কোনওভাবেই। ব্রিটিশ সাঁতারুরা জানিয়েছেন, তারা টাইফয়েড এবং হেপাটাইটিস ‘এ’-র টিকা নিয়েই খেলতে আসছেন। মেয়র যে সাঁতার কাটলেন, তা সারা বিশ্বই দেখল। তবে তিনি নাকি নিজেও ২ বার এই নদীতে নামার অভিযান বাতিল করেছেন। কারণ, তখনও জলে দূষণের মাত্রা কমেনি।

রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত ১৮ জুন ব্যাক্টেরিয়ার স্তর প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় দশগুণ বেশি ছিল। আর তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে একইরকম মাথাব্যথা রয়েছে। যদিও তা মূলত নিরাপত্তা কেন্দ্রিক। এখনও পর্যন্ত সংগঠকরা জোরালোভাবে দাবি করছেন, স্যেন নদী নিশ্চয়ই পরীক্ষায় পাশ করবে। কিন্তু সময়ও তো কমে আসছে। ট্রায়াথলনের সাঁতার হওয়ার কথা আগামী ৩০ এবং ৩১ জুলাই। অর্থাৎ, পাঁচদিনও আর বাকি নেই। ম্যারাথন হবে আগামী ৮ এবং ৯ অগস্ট।

কিন্তু যে নদীতে গর ১০০ বছরেও কেউ সাঁতার কাটেনি, সেই নদীকে ঘিরেই উঠছে হাজারো প্রশ্ন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।