সংক্ষিপ্ত

তাঁর মতো জনপ্রিয়তা টোকিও অলিম্পিক ২০২০-তে পদক জিতেও অনেকে পাননি। পেরুর স্কেটবোর্ডার অ্যাঞ্জেলো ক্যারো নার্ভায়েজ বিখ্যাত হয়ে গেলেন তাঁর চোট পাওয়ার ভিডিওর সৌজন্যে। 
 

টোকিও অলিম্পিক ২০২০ চলছে। গোটা পৃথিবীর চোখ এখন এই ক্রীড়াযজ্ঞে। আর এই সারা পৃথিবীর চোখের সামনেই চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়লেন পেরুর স্কেটবোর্ডার অ্যাঞ্জেলো ক্যারো নার্ভায়েজ। খেলাধূলার সর্বোচ্চ মঞ্চে পদক জয় নয়, তিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন তাঁর চোট পাওয়ার ভিডিওর সৌজন্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে মেয়েরা মুখ টিপে হাসছে। আর ছেলেরা বলছে, নার্ভায়েজ-এর ব্যথা একমাত্র তারাই বুঝতে পারছে। 

এই বছরের অলিম্পিকে যে ৫টি নতুন খেলা সংযোজিত হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল স্কেটবোর্ডিং। মেয়েদের বিভাগে যখন জাপানের মোমজি মাত্র ১৩ বছর বয়সে সোনা জিতে হইচই ফেলে দিয়েছে, তখন পুরুষদের স্কেটবোর্ডিং-এ শুধুমাত্র এই চোট পাওয়ার ভিডিওটির জোরেই বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন নার্ভায়েজ। অথচ, সম্ভাব্য পদকজয়ী হিসাবেই প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন পেরুর এই স্কেটবোর্ডার। কিন্তু, প্রথম রাউন্ডে শুরুতেই জোরদার ধাক্কা খেয়েছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন - পৃথিবীতে দেশ ১৯৩টি, অথচ অলিম্পিকে খেলছে ২০৫টি দল - কীকরে এটা সম্ভব

আরও পড়ুন - কে কার অনুপ্রেরণা - প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টুইটারেই মিস্টি আড্ডা ইতিহাস গড়া ভবানী দেবীর

আরও পড়ুন - ১৩ বছরে অলিম্পিক্সের আসরে বাজিমাৎ জাপানি ক্ষুদের, জানুন মোমিজি নিশিয়া-কে

যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে নার্ভায়েজ অনায়াসে স্কেটবোর্ডে চড়ে একটি রেলিং দিয়ে নেমে আসছেন। কিন্তু, সেখান তেকে মাটিতে নেমেই ছন্দপতন ঘটে। তাঁর শরীরের ওজন পিছন দিকে পড়ে, ফেলে পিছনের দিকে ঝুঁকে যান তিনি। ফলে বোর্ডের উপর থেকে পড়ে যান। আর সামনে থাকা দেওয়ালের কোনায় গিয়ে সরাসরি লাগে তাঁর পুরষাঙ্গ। 

এই দুর্ঘটনার পরও নার্ভায়েজ অবস্য প্রতিোগিতা ছেড়ে চলে যাননি। ব্যথাটা সহ্য করে সুস্থ হয়ে উঠতে তিনি এক মিনিট মতো সময় নেন। তারপরে ফের তাঁর কসরত প্রদর্শন করতে থাকেন। দ্বিতীয়বার, পাঁচটি পৃথক কৌশল সম্পন্ন করেন এবং সব মিলিয়ে ৬.৯৬ স্কোর করেছিলেন। এরফলে, ওই বেদনাদায়ক মুহূর্তের পরও তিনি শেষ পর্যন্ত, প্রাথমিক রাউন্ডে সপ্তম স্থান অর্জন করে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেন। এই চোটের ভিডিওর জেরেই নার্ভায়েজের এখন সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হয়ে উঠেছেন। তাঁর মতো জনপ্রিয়তা, অলিম্পিকে পদক জিতেও অনেকে পাননি।