সংক্ষিপ্ত

অলিম্পিক পোডিয়ামে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় কেমন অনুভূতি হচ্ছিল নীরজ চোপড়ার? কাকে এই পদক উৎসর্গ করলেন তিনি?

২০০৮ সালে শেষবার অলিম্পিকে শোনা গিয়েছিল ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। শুটিংয়ে সোনা জিতেছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। পরের ১৩ বছরে ভারত বেশ কয়েকটি অলিম্পিক পদক জিতেছে। দুটি করে পদক জিতেছেন সুশীল কুমার, পিভি সিন্ধুরা। টোকিও ২০২০-তেও বেশ কিছু স্মরণীয় পারফরম্য়ান্স রয়েছে ভারতের। হকিতে ৪১ বছর পর ব্রোঞ্জ-সহ, নীরজ চোপড়ার আগে আরও ৬টি পদক জিতেছে ভারত। কিন্তু,  অলিম্পিক পোডিয়ামে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত শোনা যায়নি। শনিবার, তা ফের শোনা গেল, জ্যাভেলিন থ্রো-তে নীরজ চোপড়া স্বর্ণপদক জেতায়। সেই সময় কী অনুভূতি হচ্ছিল নীরজের? কাকে পদক উৎসর্গ করলেন তিনি?

এই ঐতিহাসিক কীর্তির পর, নীরজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফাইনালের আগে স্বর্ণপদকের কথা তিনি ভাবেননি। বলেন, 'আজ কুছ অলগ করনা থা (আজ আমি বিশেষ কিছু করতে চেয়েছিলাম)। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি নিশানা করেছিলেন অলিম্পিক রেকর্ড ভাঙার। সেই কারণেই অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাতে রেকর্ড না ভাঙলেও সোনার পদকটি চলে এসেছে তাঁর এবং ভারতের নামে। আর ১৩ বছর পর বেজে উঠেছে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। 

"
 
অলিম্পিক পোডয়ামে পদক বিতরণের পর, একমাত্র স্বর্ণপদকজয়ী দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। তাই ২০০৮ সালে বেজিং-এ অভিনব ব্রিন্দার কীর্তির পর, অলিম্পিকে পদক জিতলেও আর ভারতের জাতীয় সঙ্গীত শোনা যায়নি। এদিন আবার তা শোনা গেল। কেমন লাগছিল তখন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের? নীরজ চোপরা জানিয়েছেন, পদক বিতরন অনুষ্ঠানের সময় যখন জাতীয় সংগীত হচ্ছিল, সেটাই ছিল তাঁর সেরা মুহূর্ত। মনে হয়েচিল বিশ্বকে জয় করেছেন। আবেগে চোখে জল চলে এসেছিল তাঁর।

আরও পড়ুুন - শুধু শুভেচ্ছা বিনিময় নয়, সোনার ছেলে নীরজের সঙ্গে আড্ডা দিলেন মোদী, দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুন - হরিয়ানার কৃষক পরিবারের ছেলেটার চোখ দিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল দেশ, সুবেদার থেকে আজ 'সোনা'র ছেলে নীরজ

আরও পড়ুন - Viral Video - নীরজের এই থ্রো-ই ভারতকে এনে দিল সোনা, টোকিওয় তৈরি হল ইতিহাস, দেখুন

নীরজ তার স্বর্ণপদকটি উৎসর্গ করেছেন সদ্যপ্রয়াত এবং ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ মিলখা সিং-কে। ফ্লাইং শিখ ১৯৫৬ সালের লস এঞ্জেলেস অলিম্পিকে চতুর্থ হয়ে, অল্পের জন্য অলিম্পিক্স অ্যাথলেটিক্স থেকে ভারতের প্রথম পদকটি হাতছাড়া করেছিলেন।  চলতি বছরেই অলিম্পিকের মাত্র একমাস আগে কোভিড জনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নীরজ বলেন, মিলখা বেঁচে থাকলে তিনি নিজে অলিম্পিক স্বর্ণপদকটি নিয়ে কিংবদন্তি দৌড়বিদের সঙ্গে দেখা করতেন। তবে শুধু মিলখা নন, ১৯৮৪-র অলিম্পিক ৪০০ মিটচার হার্ডল রেসে সেকেন্ডের ১০০ বাগের ১ ভাগ সময়ের জন্য চতুর্থ হওয়া পিটি উষা-সহ অন্যান্য ভারতীয় ক্রীড়াবিদ, যাঁরা অলিম্পিক পদক জয়ের কাছাকাছি এসেছিলেন - তাঁদের সকলকে এই অ্যাথলেটিক্স সোনা উৎসর্গ করেছেন নীরজ।

YouTube video player