ফাল্গুন মাসের অমাবস্যা তিথিতে বেশ কিছু কাজ করা একেবারেই নিষিদ্ধ। এই নিয়মগুলি অমান্য করলে পড়তে পারেন মারাত্মক বিপদে।
ফাল্গুন অমাবস্যার দিন, পবিত্র নদীতে স্নান করে, সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করতে হয়। এদিন মানুষ নিজের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে জল নিবেদন করেন।
সোমবতী অমাবস্যার তারিখ সূর্যোদয়ের পর থেকে শুরু হচ্ছে এবং সূর্যাস্তের পর রাতে শেষ হচ্ছে। এই দিনে ৫টি সহজ উপায় করলে ক্রুদ্ধ পূর্বপুরুষরা খুশি হন। শুধু তাই নয়, সংসারে সম্পদ, সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বহু রোগভোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
শাস্ত্র মতে, ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার তৈরি হচ্ছে পঞ্চ দিব্য যৌগ। শাস্ত্র মতে, আদিত্যমঙ্গল যোগ, বুধাদিত্য যোগ, চতুর্গ্রহী যোগ, মহালক্ষ্মী যোগ ও সর্বার্থসিদ্ধি যোগ তৈরি হবে। এই পঞ্চ দিব্য যৌগের কারণে উপকৃত হবেন এই পাঁচ রাশি।
এই দিনে করা জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার আপনাকে পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি দিতে পারে। এবার মৌনী অমাবস্যা পালিত হচ্ছে ৯ ফেব্রুয়ারি। এই বিষয়ে কিছু ব্যবস্থা নিলে পিতৃপুরুষরা প্রসন্ন হন। পূর্বপুরুষদের বাড়িতে শান্তি ও ভগবানের আশীর্বাদ লাভ হয়।
শনির শতভীষা নক্ষত্রের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। এমন পরিস্থিতিতে পৌষ অমাবস্যা কিছু রাশির জন্য উপহার নিয়ে আসবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন রাশির জাতক জাতিকারা সূর্য ও শনির গমনে লাভবান হবেন।
শাস্ত্র মতে, ১০০ বছর পর অমাবস্যায় বিরল যোগ। শুক্রের গোচরের ফলে বিশাল শক্তিশালী মালব্য রাজযোগের নির্মাণ হয়েছে। ফলে ভালো সময় শুরু হবে এই পাঁচ রাশির।
সর্ব পিতৃ অমাবস্যার দিনটিকে পৃথিবীতে পূর্বপুরুষ এবং পূর্বপুরুষদের শেষ দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। এই দিনে তাঁরা স্বর্গে ফিরে যান।
এই অমাবস্যার রাত নানান জায়গায় নানা নামে পরিচিত। কোথাও ভাদো অমাবস্যা তো কোথাও কৌশিকী অমাবস্যা আবার কোথাও তারানিশি। তবে দেশের যে কোনও প্রান্তেই হোক এই অমাবস্যা তিথির জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন তান্ত্রিকরা।
ভাদ্র বা কৌশিকী অমাবস্যার দিনে পবিত্র নদীতে স্নান করাও শুভ বলে বিবেচিত হয়, এবার ভাদ্র বা কৌশিকী অমাবস্যার সঠিক তারিখ নিয়ে সংশয় রয়েছে যে এটি ১৪ সেপ্টেম্বর নাকি ১৫ সেপ্টেম্বর পালিত হবে।