ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে। বর্তমানে কোথাও থেকে প্রাণহানি বা সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর নেই। দিল্লি-এনসিআর সহ জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায়ও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে।
প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে যানবাহন থেকে ছড়িয়ে পড়া কালো ধোঁয়া এবং খড় পোড়ানোর কারণে দিল্লির বাতাস দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে নাসা।
ভূমিকম্পের কারণে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য নেই। জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হলেই মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে সৌভাগ্যের বিষয় হলো ভূমিকম্পের তীব্রতা খুব বেশি ছিল না।
ভূমিকম্পের পরপরই জম্মু অঞ্চলের কিছু অংশে মোবাইল পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বারবার ভূমিকম্প বড় ধরনের কোনো বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে কিনা তা নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত সতর্ক করছেন যে দিল্লি ভূমিকম্পের দিক থেকে খুব সক্রিয় অঞ্চলের একটি অংশ, যার কারণে এখানে ভূমিকম্প হতে থাকবে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের ফৈজাবাদে মাটির ২০০ কিলোমিটার নীচে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্পের তীব্র কম্পনে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। এর আগেও দিল্লি-এনসিআরে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাটির নিচে ১০ কিলোমিটার। মেঘালয়ের নংপোহ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্প হয়েছিল।
ভূমিকম্পের তীব্রতা খুবই কম ছিল, তাই মানুষ তা জানতে পারেনি। তবে অনেক জায়গায় মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে।