সংক্ষিপ্ত
- তেলেঙ্গনা থেকে এবার আমেরিকা গেলেন বজরঙ্গবলী
- আমেরিকায় স্থাপিত হল সবচেয়ে দীর্ঘ হনুমান মূর্তি
- বজরঙ্গবলীর মূর্তিটি ওজনে প্রায় ৩০ হাজার কেজি
- গ্রানাইট পাথরের মূর্তিতে তৈরিতে খরচ পড়েছে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার
হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা শ্রী হনুমানজী। হিন্দু পুরাণে হনুমানকে বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। রামের একনিষ্ঠ ভক্ত পহনন্দন বজরঙ্গবলীর সারা দেশে অজস্র ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছেন। তবে কেবল এদেশ বললে ভুল বলা নয়, আমেরিকাতেও তার ভক্ত সংখ্যা কিছু কম নয়। তাই এবার বজরঙ্গবলী স্বয়ং পাড়ি জমালেন মার্কিন মুলুকে। আমেরিকার ডেলওয়ারে স্থাপিত হল হনুমানজীর ২৫ ফুট লম্বা একটি মূর্তি। এটাই মার্কিন মুলুকে এখন সবচেয়ে দীর্ঘ হনুমান মূর্তি।
ডেলওয়ারের নিউ ক্যাসেল কাউন্ট্রির হক্কিন এলাকায় বজরঙ্গবলীর এই বিশাল মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছে। ডেলওয়ারের হিন্দু মন্দির অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পতিবন্দ শর্মা জানিয়েছেন, হনুমান মূর্তিটির ওজনে প্রায় ৪৫ টন বা ৩০ হাজার কেজি। তেলেঙ্গনার ওয়ারাঙ্গল থেকে জাহাজের করে এই বিশাল মূর্তি আনা হয়েছে মার্কিন মুলুকে।
আরও পড়ুন: ভারত-চিন উত্তেজনা বাড়তেই ফের সক্রিয় ট্রাম্প, শহিদ জওয়ানদের জন্য শোকপ্রকাশ আমেরিকার
হনুমানজীর এই বিশাল মূর্তি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১ লক্ষের বেশি মার্কিন ডলার। বিশাল আকারের এক গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে এই মূর্তি। এক ডজনেরও বেশি শিল্পী মিলে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তৈরি করেছেন মূর্তিটি। চলতি বছর ২৫ জানুয়ারি হায়দরাবাদ থেকে জাহাজে করে নিউইয়র্কে পৌঁছন হনুমানজী। সেখান থেকে ডেলওয়ারে সবচেয়ে বড় মন্দিরে স্থাপন করা হল বজরঙ্গবলীকে।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ উঠতেই ফের বিপত্তি, আর করোনামুক্ত নয় দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড
মূর্তি স্থাপন করতে বেঙ্গালুরু থেকে এসেছিলেন পুরোহিত নগরাজ ভাট্টার। মন্দির চত্বরে হনুমানের মূর্তি স্থাপন ঘিরে ১০ দিন ধরে বিশেষ পুজোরা আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে অংশ নেন বহু প্রবাসী ভারতীয় পরিবার। করোনাভাইরাসের দাপটে মার্কিন মুলুকের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। হনুমানজীর আশীর্বাদে এবার দেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেই আশাবাদী মন্দিরে আসা পূণ্যার্থীরা।