সংক্ষিপ্ত

  • ভারত-চিন সীমান্তের উপর নজর রাখছে আমেরিকা
  • বিবৃতি দিয়ে জানাল মার্কিন বিদেশমন্ত্রক
  • ভারতীয় শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা আমেরিকার
  • এর আগে দুই দেশকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প

গত মে মাসে লাদাখ সীমান্তে যখন ভারত-চিনের মধ্যে দিনে দিনে উত্তেজনা বাড়ছিল সেই সময় সবাইকে চমকে দিয়ে নিজে থেকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার রাতে লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের খবর পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা গেল মার্কিন সরকারকে। দুই দেশই এই সমস্যার শান্তিপর্ণ সমাধান করুক, বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে আমেরিকা।

আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বলেন, “আমরা বর্তমান পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানকে সমর্থন করি।” পাশাপাশি আমেরিকার তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা ঘটনার দিকে কড়া ভাবে নজর রেখেছে। পাশারাশি ভারতে হতাহত সেনা জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে মার্কিন সরকার।

আরও পড়ুন: গালওয়ান সংঘাতে মৃত্যু অন্তত ৪৩ জন চিনা সেনারও, কথা রাখেনি বেজিং স্পষ্ট জানাচ্ছে বিদেশমন্ত্রক

ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার দিকে এখন তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্বই। এরমধ্যে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারীর জন্য বরাবরই চিনকে দায়ি করে আসচেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিনও আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বলেন, ভারতীয় সেনার ঘোষণা থেকেই আমরা জানতে পেরেছি ২০ জন সেনা দওয়ানের শহিদ হওয়ার বিষয়টি। এর আগে গত ২ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময় ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা হয়েছে বলে মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে ১৫ জুন রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান  উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই একাধিক সেনা জওয়ানের হতাহত হওয়ার খবর আসছে সূত্র থেকে। এই বিষয়ে ভারতের তরফে বিহার রেজিমেন্টের এক সেনা আধিকারিক কর্নেল সন্তোষ বাবু-সহ ২০ জনের শহিদ হওয়ার কথা বলা হলেও বেজিং কিন্তু এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি। ফলে চিনের কজন সেনা এই সংঘর্ষে মারা গিয়েছে তা সরকারি ভাবে জানা যাচ্ছে না। যদিও অসমর্থিত সূত্রে ৪০ জনেরও বেশি চিনা সেনার হতাহতের খবর আসছে।

আরও পড়ুন: ধারা ৩৭০ অপসারণ করতেই বাড়ল রাগ, দেখুন গত এক মাসে গলওয়ান উপত্যকায় যা ঘটিয়েছে চিনা বাহিনী

এদিকে সোমবার রাতে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার তা প্রকাশ্যে আসতেই দিনভর উত্তেজনা চলে। ভারতের তিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পুরো বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়। যদিও সংঘর্ষের পর এই দুই দেশের সেনাই নিজেদের অবস্থানে ফিরে গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও যে অত্যন্ত উত্তেজনা পূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।