সংক্ষিপ্ত

  • বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ লক্ষ পেরোল
  • কিন্তু ভ্যাকসিন আবিষ্কার এখনও করা যায়নি
  • এই পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখাল মার্কিন সংস্থা মডার্না
  • ভ্যাকসিন নিয়ে এবার চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু করল মডার্না

গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৭৫ লক্ষের গণ্ডি। মারা গিয়েছেন ৪ লক্ষ ২১ হাজারেরও বেশি মানুষ। পরিস্থিতি ক্রমে অবনতির দিকে গেলেও ভ্যাকসিন এখনও অধরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য দিন-রাত এক করে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে বর্তমানে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌঁড়ে রয়েছে বিশ্বের ৭৬টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মডার্নাও।  প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে সফল হওয়ার পর করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষার দিন এবার ঘোষণা করে দিল এই  মার্কিন  জায়ান্ট কোম্পানি।

বৃহস্পতিবার মার্কিন এই সংস্থা ঘোষণা করেছে , জুলাই মাসে চূড়ান্ত ধাপে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে। শেষ ধাপের পরীক্ষায় ভ্যাকসিনটির প্রত্যেক ডোজের জন্য ১০০ মাইক্রোগ্রাম নির্ধারণ করা হয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একেবারে সর্বনিম্ন রাখার জন্যই এই মাত্রার ডোজ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি  বছরে ৫০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে কোম্পানিটি।

বিশ্বে করোনা ছড়ানোর জন্য জিনিপং-এর বিরুদ্ধে মামলা, সাক্ষী বানানো হল মোদী আর ট্রাম্পকে

৩ মাস ধরে পাচ্ছেন না বেতন, বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণের মাঝেই রাজধানীতে গণইস্তফার পথে চিকিৎসকরা

একা কেবল অসাধ্য সাধন করেনি নিউজিল্যান্ড, জেনে নিন বিশ্বের আর কোন কোন দেশ ইতিমধ্যে হল করোনা মুক্ত

যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের বায়োটেক কোম্পানি মডার্না বলছে, গবেষণার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগকে প্রতিরোধ করা।  দ্বিতীয় লক্ষ্য গুরুতর রোগ প্রতিরোধ করা। যাতে মানুষকে হাসপাতাল থেকে দূরে রাখা যায়। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হয়েছে বলে  জানাচ্ছে এই মার্কিন এই ওষুধ সংস্থা। চূড়ান্ত পর্বে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদের পরবর্তী এক বছরের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

মডার্নার ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা মূলকভাবে গত মার্চে মানুষের শরীরে প্রথম প্রবেশ করানো হয়। প্রথম পর্যায়ের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শরীরে টিকার ২টি ডোজ দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে আটজনের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে মডার্না জানিয়েছে, প্রাথমিক ফল ইতিবাচক। যে ৮  স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং সেগুলো ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তা ভাইরাসের বংশবিস্তার ঠৈকিয়ে দিতে সক্ষম। ওই ৮ জনের প্রত্যেকের শরীরেই করোনাভাইরাসের ‘নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি’ এমন মাত্রায় তৈরি হয়েছে, যা এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির সমান বা তার চেয়ে বেশি। নিউট্রালাইজিং অ্যান্ডিবডিগুলো ভাইরাসকে ঠেকিয়ে দেয়, তার মানবদেহে আক্রমণের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।