সংক্ষিপ্ত

  • মুর্শিদাবাদের ভোট প্রচারে আব্বাস সিদ্দিকি 
  • অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেন তিনি 
  • বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে 
  • এমনই গুরুতর অভিযোগ করেন তিনি 
     

প্রথম থেকেই তাঁদের  সম্পর্ক অম্লমধুর। ব্রিগেডের সভামঞ্চ থেকেই তার আঁচ করেছে বঙ্গবাসী। একদিকে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। অন্যদিকে রয়েছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি।  একজন পোড়-খাওয়া রাজনীতিবিদ তো অপরজন পশ্চিমবঙ্গে নতুন রাজনীতির সমীকরণের মুখ হয়ে উঠে আসা উঠতি বিতর্কিত নেতা।  কিন্তু এবার  অধীর চৌধুরীর খাসতালুক মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে এসে এসে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সরাসরি একাধিক ভাবে বিঁধলেন প্রদেশ অধীর চৌধুরী কেই। তিনি কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন বিজেপির সঙ্গে তাঁদের গোপন আঁতাত রয়েছে। 

২ মাসের জন্য ৫কেজি খাদ্য শস্য় বিলি, কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে ৮০ কোটি মানুষের পাশে থাকার বার্তা মোদীর .
ভোটের মুখে এমন কান্ডে শুক্রবার শোরগোল পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। আব্বাস শুরুতেই অধীর কে টার্গেট করে 'জোট ধর্ম'  নিয়ে  নিশানা করে বিজেপির সঙ্গে অধীর চৌধুরীর গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে সরব হন। তিনি(আব্বাস সিদ্দিকী) বলেন," অধীর চৌধুরী তথা কংগ্রেসকে মুর্শিদাবাদে ভোট দেওয়া মানে ঘুরিয়ে বিজেপিকে সাহায্য করা"। পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে  এলাকায় আই এস এফ এর প্রার্থী দাঁড় করানো প্রসঙ্গে পাল্টা যুক্তি সাজিয়ে আব্বাস বোঝানোর চেষ্টা করেন মূলত কি কারনে তাঁরা মালদহ ও মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের  বিরুদ্ধে বহু জায়গায় প্রার্থী দিয়েছেন।  ইসলামপুরে এসে আইএসএফ  প্রধান পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি অবশ্য তৃণমূল ও বিজেপিকে একই বন্ধনীতে ফেলে সমালোচনাও করেন। সরাসরি জানিয়ে দেন, “মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের জোট হয়নি। আমার তো মনে হয়, বিজেপির সঙ্গে অধীর চৌধুরীর বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে। তাই রানিনগর বিধানসভায় বাম-গণতান্ত্রিক-ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তির জোটসঙ্গী আইএসএফ মনোনীত ‘খাম’ প্রতীকের প্রার্থী মাসুম রেজাকে আপনারা ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে, কংগ্রেস প্রার্থী ফিরোজা বেগম কে ভোট দেবেন না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।

মোদীর কোভিড বৈঠক সম্প্রচার করে বিপাকে কেজরিওয়াল, লাইভে প্রধানমন্ত্রীর ধমক খেয়ে ক্ষমা চাইলেন তিনি ...

তৃণমূল কংগ্রেস প্রসঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, 'তৃণমূল দলটাই গঠিত হয়েছিল বিজেপির ইশারায়।' আবার বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, “সাত বছর আগে বলেছিল সবকা সাথ সবকা বিকাশ। একটাও বিকাশ হয়নি। উলটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। এই বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই রাজ্যের ক্ষতি হবে,তাই ওদের ভোট না দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন। আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, “আমরা মুর্শিদাবাদে আমাদের অধিকার ছিনিয়ে নেব"। জোট প্রসঙ্গে বলেন," এই মুর্শিদাবাদে তিনটি  আসন চেয়েছিলাম। কিন্তু অধীর চৌধুরী তা মানেননি। সবাই চাইল জোট হবে। কিন্তু অধীর চৌধুরি মানলেন না। তাই আমরা  প্রার্থী দিয়েছি।”কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন তিনি। আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, “অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেস এতদিন মুর্শিদাবাদে রাজত্ব করল, কিন্তু  জেলায় একটাও বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। তাই ওদের আর সুযোগ দেওয়ার দরকার নেই। 

YouTube video player