সংক্ষিপ্ত
- মিনাখাঁয় বিজেপি নেতার উপর হামলা
- প্রতিবাদে থানা ঘেরাও বিজেপির
- তাঁকে দেখতে যান শুভেন্দু অধিকারী
- আহত বিজেপি নেতার শরীরে বোমার স্প্লিন্টার
ভোটের আগে বিজেপি নেতার উপর হামলার ঘটনার জেরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার গাড়িতে বোমা হামলার পর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বিজেপি নেতা বাবু মাস্টার। ঘটনার জেরে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। আহতকে দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছেন বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে, বিজেপি নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও নেতা কর্মীদের।
আরও পড়ুন-বিজেপির নেতার উপর হামলায় সরগরম রাজ্য়, জ্য়োতিপ্রিয়কে নিশানা করলেন অর্জুন
আহত বিজেপি নেতা বাবু মাস্টারকে হাসপাতালে দেখতে যান, শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কুদেব পণ্ডা, অর্জুন সিং। জানা গিয়েছে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বাবু মাস্টার। এই দলবদলের জেরেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, ''বাবু মাস্টার যেদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তখন থেকেই তৃণমূলে ধস নেমেছিল। সে কারণে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁকে ধমকে ছিলেন। বাবু মাস্টার জানিয়েছিলেন, প্রাণে মেরে দাও, তবুও বিজেপি ছাড়ব না''।
আরও পড়ুন-সাগর থেকে শাহ-র রথযাত্রার সূচনা, পাল্লা দিয়ে ময়দানে 'দিদির দূত', 'ভূত' বলে কটাক্ষ সুজনের
যদিও, বাবু মাস্টারের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দাবি, ''নতুন বিজেপির সঙ্গে পুরোন বিজেপির সংঘর্ষে তৃণমূল যুক্ত নয়। হামলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না তৃণমূল। হামলায় আহত বাবু মাস্টারের অনেক শত্রু ছিল''। জানাগিয়েছে, বসিরহাটের সভা থেকে ফেরার পথে কলকাতার দিকে যাওয়ার সময় বাসন্তী হাইওয়ের উপর লাউহাটি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে হামলা বাবু মাস্টারের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। অন্তত ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী মুখে কালো কাপড় বেঁধে হামলা চালায় বলে দাবি করেছে বিজেপি।