সংক্ষিপ্ত
- জিততে মরিয়া রুপোলি পর্দার হিরণ
- হিরণের রাজনৈতিক জীবন কিছুটা পুরনো
- তিনি ছিলেন রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গেই
- প্রাপ্য মর্যাদা পাননি বলে অভিযোগ অভিনেতার
তাপস দাস- জিততে মরিয়া হয়ে যে অন্যের বাথরুমে ঢুকে পড়ার মত কাণ্ড ঘটানো যায়, তা সম্ভবত বাংলার রাজনীতিতে বিরলতম ঘটনা। কিন্তু তিনি তো মরিয়াই হবেন। শৈশবে ব্রহ্মচর্য পালন ও আশ্রম বাস, পিতৃ-মাতৃহারা হয়ে চাকরি নিয়ে বম্বে গমন, ফের অভিনয়ের জন্য কলকাতায় ফিরে আসা এবং অনাথ শিশুদের জন্য এনজিও-র সঙ্গে নিয়মিত কাজ- এই রকম যাঁর জীবন কাহিনি, তিনি তো সাবান মাখা ভক্তের সঙ্গে পোজ দিতে পারেনই, ভোটে জেতার জন্য। তবে, কথাটা পুরো সত্যি নয়। বাথরুমে ঢুকে পড়ার কথাটা। তিনি প্রচারে আসছেন খবর পেয়েই সাবান মাখা অবস্থায় বেরিয়ে আসেন এক যুবক। আর তা দেখে তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার বায়না মিটিয়েছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাতেই শোরগোল পড়ে যায় ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। হিরণ বলেছেন, ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের রাস্তার কলে স্নান করতে হয়, সেটা প্রমাণ করার জন্যই ওই ছবি তুলিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- রাত পেরোলেই নন্দীগ্রামে মমতা, ওদিকে শুভেন্দুকে শক্তি দিতে আসছে অমিত শাহও .
আরও পড়ুন- পোলিং এজেন্ট নিয়ে আপত্তি, সুদীপের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল ...
হিরণের রাজনৈতিক জীবন কিছুটা পুরনো। তিনি ছিলেন রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গেই। কিন্তু সেখান থেকে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তাঁর। প্রাপ্য মর্যাদা পাননি বলে অভিযোগ তুলে হিরণ বিজেপিতে গিয়েছেন সদ্য। আর সঙ্গে সঙ্গেই পেয়ে গিয়েছেন দুর্লভ টিকিট, ভোটে দাঁড়ানোর। তাও আবার দিলীপ ঘোষের মাঠ, খড়গপুরে। খড়গপুর আসন বিজেপির কাছে অত্যন্ত প্রেস্টিজের। এখান থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সাংসদ হবার পর, খড়গপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি হেরে যায়, জয়লাভ করে তৃণমূল। প্রচারে গিয়ে অবশ্য হিরণ চেনা যুক্তিই দিচ্ছেন, বলছেন উপনির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল ভোট লুঠ করেছিল।
খুব বেশি ছবি করেন না সস্ত্রীক সাড়ে চার কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির এই মালিক। জেতার ব্যাপারে আশাবাদী হিরণ বলেছেন, তৃণমূলের ভোট মেশিনারি এখন তিনি নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন। ফলে তৃণমূলি প্রতিদ্বন্দ্বীর আর কোনও আশা নেই, দাবি একদা ব্রহ্মচারীর।