সংক্ষিপ্ত

  •   দোষী প্রমাণ করলে মৃত্যুবরণ করার হুঁশিয়ারি পামেলার
  •  জেলের জল খেয়ে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত, জানালেন তিনি 
  • রাকেশ সিং ও আলিপুর থানার ওসির বিরুদ্ধেও অভিযোগ  
  •  কোর্ট থেকে বেরোবার সময় চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন পামেলা  
     


'কোকেনকাণ্ডে আমায় দোষী প্রমাণ করলে মৃত্যুবরণ করব'- আলিপুর কোর্ট থেকে বেরোবার সময় চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন পামেলা। 'তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে' এবং এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে  আলিপুর থানার ওসির বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুললেন তিনি।

আরও পড়ুন, 'তপশীলি মেয়েকে ১০০০ টাকা হাত খরচ দেওয়া হবে', বাদ যাবে না জেনারেলরাও-গড়বেতায় ঘোষণা মমতার  

 

 


আলিপুর কোর্টে আসবার সময় আবারও পামেলা বললেন, তাঁকে রাকেশ সিং ফাঁসিয়েছে। যদি কেউ প্রমান করতে পারে আমি দোষী তাহলে আমি মৃত্যু বরণ করব।  আলিপুর কোর্ট থেকে বেরোবার সময় পামেলা গোস্বামী জানালেন যে,  তিনি খুব অসুস্থ ও ডাইরিয়াতে আক্রান্ত।  আলিপুর জেলে  জল খেয়ে তিনি ডায়রিয়াযতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তার শরীর খুব খারাপ রয়েছে। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে এবং এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে নিয়ে আলিপুর থানার ওসির নাম করলেন তিনি পয়সা নিয়ে পুরো বিষয়টা করেছেন' বলে দাবি পামেলা।

 

আরও পড়ুন, 'ঘরের দুয়ারের সাপটাকে আটকাতে হবে'- গোয়ালতোড়ে BJPকে নিশানা মমতার 

 


উল্লেখ্য, সম্প্রতি, কোকেনকাণ্ডে আরও ২ জনকে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশ। ধৃতদের নাম ফারহান আহমেদ এবংদাউম আখতার। অভিযোগ,   মাদক সরবারহকারী এরা দুজনেই এই কোকেনকাণ্ডে যুক্ত রয়েছে।  এদের কাছে একটি প্লাস্টিক পাউচের ভিতর ১০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত অমৃতাকে জেরা করেই এই দুই যুবকের হদিষ পেয়েছে তদন্তকারীরা।কোকেনকাণ্ডে গ্রফতার করা হয় অমৃতা সিংকে। পুলিশের দাবি, অমৃতাকে কাজে লাগিয়ে কারবারীদের কাছ থেকে মাদক নিত রাকেশ সিংহ। অমৃতাকে নিয়ে কোকেনকাণ্ডের মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭। 

আরও পড়ুন, 'BJP বলে বিকাশ হবে', পুরুলিয়ায় 'খেলা হবে'-র পাল্টা পানীয় জলের ইস্যুতে মমতাকে নিশানা মোদীর 

 

 


পয়লা মার্চেই সূরযকুমার শাহ নামের আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযোগ, সূরজের স্কুটিতে চেপেই অমৃত সিংহ নামে আরও এক অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। যে দিন মাদক-সহ বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী ধরা পড়েন। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন অমৃতা। তবে কোকেনকাণ্ড যে কয়লাকাণ্ড-গরুপাচারকাণ্ডে ইডি-সিবিআই এর তলবেরই পাল্টা প্রতিশোধ এমন দাবি আগেই করেছেন দিলীপ ঘোষ। শেষ অবধি কী হয়, তা বোঝা যাবে ২ মে-র পরেই, এমন গুঞ্জন তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।