সংক্ষিপ্ত

ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস

বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করল তৃণমূল প্রতিনিধি দল

বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে পুলিশ আনায় তীব্র আপত্তি

কে রাজ্যে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োগ না করার আহ্বান জানিয়েছে তৃণমূল

 

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে শাসক দলের এক প্রতিনিধি দল। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির পুলিশকে রাজ্যে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োগ না করার আহ্বান জানিয়েছে তৃণমূল।

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যের ভোট পরিচালনায় উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার বা অন্য কোনও বিজেপি বা এনডিএ শাসিত রাজ্য থেকে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হলে, তারা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করতে পারেন। বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারেন। প্রথম দফায় এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাই, দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণের সময়, যাতে বিজেপি শাসিত রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা না করা হয়, তা নিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে।

শুধু তাই নয়, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া নিশ্চিত করতে পূর্ব মেদিনীপুরের সমস্ত অসামাজিক উপাদানকে অবিলম্বে চিহ্নিত করে প্রতিরোধমূলক হেফাজতে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে তৃণমূল প্রতিনিধিরা আরও অভিযোগ করেছেন, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম নির্বাচনী এলাকার একাধিক স্থানে, বহিরাগত অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছেন। ইলেক্টোরাল অফিসারকে তৃণমূল সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর আশ্রিত সমস্ত বহিরাগত অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছে।  

আরও পড়ুন - দলবদলুদের ভোট দেয় না বাংলা, শুভেন্দু-রাজীবদের জন্যই কি মার খাবে বিজেপির জয়ের স্বপ্ন

আরও পড়ুন - বঙ্গ ভোটে পদ্ম হাতে ৯ মুসলমান, বিজেপি কি সত্যিই সংখ্যালঘু-বিরোধী - কী বলছেন প্রার্থীরা

আরও পড়ুন - মমতা, আব্বাস না বিজেপি - কোথায় যাবে মুসলিম ভোট, বাংলার নির্বাচনে এবার সবথেকে বড় ধাঁধা

সাধারণত, এই ধরণের অভিযোগ ভোট চলাকালীন বিরোধীরা করে থাকেন। এইবারের ভোটে দেখা যাচ্ছে এক আশ্চর্য উলট পুরান। বিরোধীদের কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের মুখেই। এমনকী প্রথম দফা ভোটের দিনও বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ৯০ শতাংশ বুথে নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায়, ইভিএম-এ কারচুপি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অত্যাচার, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বিজেপির পক্ষ থেকে যৌথভাবে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দানের মতো অভিযোগ তোলা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণের আগেও সেই ধারা বজায় রয়েছে।