সংক্ষিপ্ত
- সুব্রতকে টিকিট দেওয়া বিজেপির অন্যতম মাস্টারস্ট্রোক
- মোদীর অন্যতম প্রতিরক্ষা কর্মসূচিরই অংশ এনএসএবি
- ফৌজ থেকে অবসর নিয়ে, সুব্রত এই বোর্ডে নিযুক্ত হন
- উপদেষ্টার পদে এই নিয়ে তাঁর দ্বিতীয় দফা চলছে
তাপস দাশঃ- ফৌজি অফিসার যে এবারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, সে কথা জানতেন কি? জানতেন কি যে, ফৌজ থেকে অবসর নিলেও তিনি এখন ভারত সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা? যাঁরা ইতিমধ্যেই জানেন, তাঁরা এ পর্যন্ত পড়েই বুঝে গিয়েছেন সুব্রত সাহার কথা বলা হচ্ছে। রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে সুব্রত সাহাকে টিকিট দেওয়া বিজেপির অন্যতম মাস্টারস্ট্রোক।
আরও পড়ুন, আইকোরকাণ্ডে ফের তলব পার্থকে, আগামী সপ্তাহে হাজিরার নির্দেশ দিল ED
মোদি সরকারের অন্যতম মেক ইন ইন্ডিয়া প্রতিরক্ষা কর্মসূচিরই অংশ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ড, সংক্ষেপে এনএসএবি(NSAB)। ফৌজ থেকে অবসরগ্রহণের পর, তিনি এই বোর্ডে নিযুক্ত হন। উপদেষ্টার পদে এই নিয়ে তাঁর দ্বিতীয় দফা চলছে। সুব্রত অ্যাকাডেমিয়া, শিল্পমহল ও সেনাবাহিনীকে এক সূত্রে বেঁধেছেন বলে তিনি উচ্চ প্রশংসিতও বটে।
আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই না-এখন এসে কী করবেন', বিস্ফোরক শীতলকুচির বর্মন পরিবার
জন্মসূত্রে কলকাতার ছেলে হলেও, কর্মসূত্রে বাইরে বাইরেই থাকতে হয়েছে সুব্রতকে। আসাম রেজিমেন্টে কর্মরত এই আধিকারিক পরিকল্পনা, সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি ও আধুনিকীকরণের কার্যভার সামলাতেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে কী ধরনের অস্ত্রশস্ত্র থাকা উচিত, সে সম্পর্কে তাঁর বোঝাপড়া প্রশ্নাতীত বলে জানিয়েছেন সেনা আধিকারিকরা। এ দায়িত্ব যখন তিনি সামলাতেন, তখন তাঁর পদমর্যাদা ছিল ডেপুটি চিফ অফ আর্মি। মিলিটারি অপারেশনসের এডিজি থাকাকালীন তিনি সেনাবাহিনীর অতি সংবেদনশীল জায়গার নিযুক্ত ছিলেন। এর পর তিনি ছিলেন চিনার কর্পসের দায়িত্বে, যে দায়িত্ব শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখার উপর নজরদারিরই নয়, কাশ্মীরের পুরো দেখভালেরও। ৯-এর দশকের মাঝামাঝি তিনি রাষ্ট্রসংঘের মিশনে অ্যাঙ্গোলায় নিযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন, আজ রাজ্যে প্রথমবার নির্বাচনী প্রচারে রাহুল, ওদিকে শীতলকুচি কাণ্ডের পর কোচবিহারে মমতা
কিন্তু এ সবই ফিকে হয়ে যাবে, যখন জানা যাবে বালাকোট হামলার নেপথ্য নায়ক ছিলেন এই বঙ্গ সন্তান। নির্বাচন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, নির্বাচনে লড়াই হয় না, লড়াই হয় শত্রুর সঙ্গে। নির্বাচনে যা হয়, তা প্রতিযোগিতা। তিনি বলেছেন, বিজেপি তাঁকে সুযোগ দিয়েছে কাজ করবার। তিনি জানিয়েছেন, এ রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ রয়েছে। ফলে এখানে তিনি সুরক্ষা দেবেন নাগরিকদের।
আরও পড়ুন, ভোটের মাঝেই মোদীর 'দিদি -ও দিদি' ভাইরাল, বাচ্চাদের মুখে ছড়াল সেই 'মিমিক্রি', দেখুন ভিডিও
রাসবিহারী কেন্দ্রে ২০১১ ও ২০১৬ সালের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এবারের ভোটে ভবানীপুর ছেড়ে মমতা নন্দীগ্রাম থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নেবার পর মমতার ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখার দায় পড়েছে বর্ষীয়ান শোভনদেবের উপর। আর রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এলাকার পরিচিত মুখ দেবাশিস কুমার।