সংক্ষিপ্ত

জটিল স্নায়ু রোগে আক্রান্ত ৭ বছরের শিশু। কিন্তু অর্থাভাবে পাচ্ছে না চিকিৎসা।

জটিল স্নায়ু রোগে (complex neurological disease) আক্রান্ত ৭ বছরের শিশু (7year old child)। কিন্তু অর্থাভাবে (Financial condition) পাচ্ছে না চিকিৎসা (treatment)। অসহায় পরিবারের কাতর আর্জি সরকারের কাছে। একরত্তি শিশু কেঁদেই চলেছে। উঠে দাঁড়ানোর ইচ্ছে থাকলেও শরীরে বল নেই। অসহায় ভাবে পড়ে রয়েছে মাটিতে। 

দীর্ঘ ছয় বছর ধরে স্নায়ু রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙ্গনদীয়া গ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র দিনমজুর হেদাতুল ইসলামের ছেলে মহম্মদ মুসাব্বির (৭)। টাকার অভাবে থমকে রয়েছে চিকিৎসা। চিকিৎসার অভাবে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শিশু। তাহলে কি চিকিৎসার অভাবেই বাবা মায়ের সামনে শিশুটি মারা যাবে?

প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট থাকলেও মিলছে না ভাতা। হয়নি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড‌ও। সরকারি সাহায্যের আশায় চেয়ে আছে পরিবার। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেস কটাক্ষ করেছে তৃণমূলকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে কার্ডের। 

শিশুটির মা আজমেরী বিবি জানান তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। স্বামী দিনমজুর। মহম্মদ মুসাব্বির ছোট ছেলে। শিশুটি সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে জন্ম হলেও জন্মের একবছর পর ডায়েরিয়া হয়ে যায়। এরপর থেকে শরীরে অসুখ বাসা বাঁধতে থাকে। শরীর ধীরে ধীরে অবশ হয়ে যায়। হাত পা সরু হয়ে যায়। মাথা স্বাভাবিকের তুলনায় বড়ো হতে থাকে। সব সময় বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে থাকে। একা চলাফেরা করতে পারে না। মালদা ও কলকাতায় চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলেও টাকার অভাবে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা করাতে পারেনি।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে যথেষ্ট টাকার প্রয়োজন। দিনমজুর স্বামীর পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। তাই সরকারি সাহায্যের আশায় চেয়ে আছে পরিবার।

হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন," ঘটনাটি জানতে পারলাম। খুব দুঃখজনক। আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা তড়িঘড়ি ব্যবস্থা করে দেব। শিশুটির দ্রুত আরোগ্য এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।"

কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আব্দুস শোভান কটাক্ষের সুর চড়িয়ে বলেন," তৃণমূলের আমলে যারা কাটমানি দিতে পারবে তাদেরই শুধু কাজ হবে। এই পরিবারটি গরীব দিতে পারেনি, তাই কাজ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আছে এমনকি বড় বড় নেতা মন্ত্রীদের কার্ড আছে কিন্তু গরীব মানুষের নেই। এটাই এই সরকারের আমলে বাস্তব চিত্র। মানুষ আশা করি সবটা বুঝছে। আমরা ঐ পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করব।"

পাল্টা তৃণমূল নেতা সঞ্জীব গুপ্তা বলেন," সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা বিষয়টি শুনতে পেলাম। দুয়ারে সরকার প্রকল্পতে যারা আবেদন করেছে সকলে পেয়েছে। ওই পরিবারটি যদি না পেয়ে থাকে ব্যাপারটি দেখা হবে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর আমলে সকল রাজ্যবাসী এই সুবিধা পাচ্ছে।"

কংগ্রেসের প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন," মিথ্যা সমালোচনা করাই এদের কাজ। কংগ্রেস নেতারা কার্ড না পেয়ে থাকলে আমরা কার্ড করে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করিয়ে দেব।" 

ফেসবুকের লকড প্রোফাইল দেখবেন কীভাবে, রইল সহজ কয়েকটি উপায়

মুসলিম মহিলাদের অন্য ধর্মে বিয়ে করা পাপ, ফতোয়া মুসলিম ল বোর্ডের

দেবতার মূর্তি গুঁড়িয়ে তছনছ মন্দির, পাকিস্তানে উন্মত্ত জনতার তান্ডবে হতবাক গোটা বিশ্ব

তবে এই ধরনের ঘটনা হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বারবার দেখা যাচ্ছে। গরীব পরিবারের মানুষেরা জটিল রোগে আক্রান্ত। কিন্তু তাদের থাকছে না স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। পয়সার অভাবে করাতে পারছে না চিকিৎসা। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশাসনের উচিত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যাতে সমাজের সব স্তরের মানুষ পায় তার জন্য তৎপর হওয়া। আর এই অসহায় পরিবারের পাশে দ্রুত দাঁড়ানো উচিত।