সংক্ষিপ্ত
- নববর্ষের উপহার ফেরাল ন'বছরের ক্ষুদে
- সেই টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছে সে
- সঙ্গে প্রণাম জানিয়ে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
- ঘটনাটি ঘটেছে হুগলিতে
আরও পড়ুন: করোনা উপসর্গের মৃতদেহের সৎকার ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁকুড়ায়, পুলিশের ব্য়াপক লাঠিচার্জ
হুগলির রথতলায় বাড়ি ন'বছরের ত্রিজিতা সিংহ-এর। মঙ্গলবার সকালে যখন বাবা-মায়ের সঙ্গে ২১০০ টাকার চেক নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে হাজির হয় একরত্তি মেয়েটি, তখন বেশ অবাক হয়ে যান পোড় খাওয়া আইএএস অফিসার ওয়াই রত্নাকর রাও। হঠাৎ কেন এমন কাজ করল সে? ত্রিজিতার জবাব, 'টিভিতে দেখছিলাম, করোনায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে মারা যাচ্ছে, কেউ খেতে পাচ্ছে না। পয়লা বৈশাখে বাবা-মা নতুন জামা কিনে দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এত লোক মারা যাচ্ছে, নতুন জামা পরব না। তাই বাবা-মা নতুন জামার টাকা ডিএম অফিসে দিয়েছে।'
আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আপত্তি, পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ রণক্ষেত্র আসানসোল
আরও পড়ুন: এলাকায় নিম্নমানের চাল 'বিলি' তৃণমূল কাউন্সিলরের, ধুন্ধুমারকাণ্ড রায়গঞ্জে
কী বলছেন ত্রিজিতার বাবা-মা? বাবা সৌমিত্র সিংহ জানালেন, 'আমি আর ওর মা জামা কিনে আনার পর দেখি মেয়ের মুখ ভার। একটাই কথা বলছে, এ বছর আমার নতুন জামা চাই না। বহু মানুষ অসহায়। এ বছর নতুন জামা নাই বা হল। তবে কীভাবে ওর জমানো টাকা অসহায় মানুষদের দেবে তা নিয়েই প্রশ্ন করতে থাকে।' কী আর করবেন! মেয়ের জন্য কেনা নতুন জামা ফেরত দিয়ে আসেন সৌমিত্র। হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। নিজের ভাঁড়েও একশো টাকা জমিয়েছিল ত্রিজিতা। উপহারের মূল্যের সঙ্গে সেই টাকাও চেকের মাধ্যমে জেলাশাসকের হাতে তুলে দিয়েছে সে। তার ইচ্ছা, এই টাকা দিয়ে করোনায় যাঁরা অসহায়, তাঁদের জামা ও ওষুধ কিনে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।