সংক্ষিপ্ত
- হুগলি স্টেশনের কাছে শুক্রবার গভীর রাতের ঘটনা
- মেরে প্রৌঢ়ের শরীরে আগুন অভিযুক্তের
- ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ
পিটিয়ে খুন করে মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়া এলাকায়। মৃত ওই ব্যক্তির নাম লক্ষ্মী কর্মকার (৫২)। তাঁর বাড়ি চুঁচুড়ারই লোহারপাড়া এলাকায়। ওই ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে এ দিনই বর্ধমান থেকে সঞ্জয় রাজবংশী নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত লক্ষ্মী কর্মকারের নিজের বাড়ি থাকলেও সারাদিনই তিনি হুগলি স্টেশনেই থাকতেন। সেখানেই ভিক্ষা করে দিন গুজরান হতো তাঁর। অভিযোগ, কালী পুজোর দিন মদ কেনার জন্য অভিযুক্ত সঞ্জয় লক্ষ্মীর কাছ থেকে ভিক্ষার টাকা কেড়ে নেয়। এই নিয়ে দু' জনের মধ্যে মারপিটও হয়।
জেরায় সঞ্জয় স্বীকার করেছে, শুক্রবার রাত প্রায় একটা নাগাদ লক্ষ্মীকে একা পেয়ে স্টেশন রোডের উপরে হামলা চালায় সে। প্রথমে লোগার রড দিয়ে ওই প্রৌঢ়কে বেধড়ক মারধর করে সঞ্জয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লক্ষ্মী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রাস্তার পাশ থেকে কিছু খড় এনে সেগুলি দিয়েই ওই প্রৌঢ়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় সঞ্জয়।
এই ঘটনা দেখে এক প্রত্যক্ষদর্শীই পুলিশে খবর দেন। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চুঁচু়ড়া থানার পুলিশ। আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তদন্তে নেমে সঞ্জয়ের সঙ্গে লক্ষ্মীর গন্ডগোলের কথা জানতে পারে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সঞ্জয়কে বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত সঞ্জয় রাজবংশী এলাকায় সমাজবিরোধী বলেই পরিচিত। ঘটনার পরে বর্ধমান থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরে পালানোর চেষ্টা করে সে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান এবং স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে প্রথমে সঞ্জয়ে বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে তাঁকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী এবং মাকে জেরা করা হয়। এর পর ধৃতের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে খবর দেওয়া হয় বর্ধমান জিআরপি- কে। ট্রেন ধরার ঠিক আগেই সঞ্জয়কে আটক করে বর্ধমান স্টেশনের জিআরপি। পরে চুঁচু়ড়া থানার পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।