সংক্ষিপ্ত
- বিদেশে যাচ্ছে বাঁকুড়ার শ্বেত পদ্ম
- বারো হাজার পদ্মের বরাত পেয়েছেন বাঁকুড়ার রমাপদ দাস
- এখন থেকেই চলছে পদ্ম সংরক্ষণের কাজ
প্রতি বছরই কুমোরটুলি থেকে বিদেশে যায় বহু দুর্গা প্রতিমা। কিন্তু শুধু মা দুর্গাকে নিয়ে গেলেই তো হবে না, পদ্ম ফুল ছাড়া যে পুজোই অসম্পূর্ণ। তাই দুর্গা পুজোর পদ্ম ফুলের জন্য সেই বাংলার উপরেই নির্ভরশীল বিদেশের পুজো উদ্যোক্তারা। সেই চাহিদা মেটাতেই এবার পুজোয় বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে বাঁকুড়ার চাষ হওয়া বারো হাজার শ্বেত পদ্ম।
শাক সবজি থেকে ফল মূল। সবেতেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের সাফল্যের সাথে সুনাম কুড়িয়েছে বাঁকুড়া জেলার চাষিরা। এবার ফুল চাষ করেও বিদেশের মাটিতে সাফল্য পেতে চলেছেন বাঁকুড়ার এক চাষি। গত বছর অল্প সংখ্যক পদ্ম বাঁকুড়া থেকে পৌঁছে গিয়েছিল লন্ডনের বেশ কিছু দুর্গাপুজোর মণ্ডপে । এবার সেই চাহিদা একলাফে কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে।
বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের কল্যাণী অঞ্চলের চাষি রামপদ দাস। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি পদ্ম চাষ করছেন। স্থানীয় একাধিক পুকুরে তিনি পদ্ম ফুলের চাষ করছেন। আগে তাঁর চাষ করা পদ্ম বাঁকুড়া জেলা ছাড়িয়ে আশেপাশের জেলা এবং কলকাতার দুর্গা মণ্ডপে পৌঁছে যেত। গত বছর থেকেই তাঁর চাষের পদ্ম আশেপাশের জেলার পাশাপাশি বিদেশেও যাচ্ছে। এবারে একটু বেশি পরিমাণেই পদ্ম বিদেশের দুর্গা পুজাতে যাচ্ছে।
বাঁকুড়ার এই পদ্ম চাষি জানাচ্ছেন, বিদেশে বাঁকুড়ার পদ্মের চাহিদা রয়েছে এবং দামও বেশ ভালই পাওয়া যাচ্ছে। যার ফলে আরও বেশি করে পদ্ম চাষে উৎসাহী হচ্ছেন চাষিরাও। জেলা উদ্যান পালন বিভাগের দফতর থেকে পদ্ম চাষের জন্য বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা মিলছে বলেই জানাচ্ছেন রামপদবাবু। এখন থেকেই পদ্ম ফুল তুলে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। মহালয়ার পরেই এই সমস্ত পদ্ম বিদেশে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন- নাম লেখাননি এখনও, দেরি না করে অংশ নিন এশিয়ানেট নিউজ শারদ সম্মান ২০১৯-এ
আরও পড়ুন- ভূকৈলাস রাজবাড়িতে আজও মা অধিষ্ঠান করেছেন পতিতপাবনী দুর্গা রূপে
বাঁকুড়া জেলা উদ্যান পালন বিভাগের দাবি, বাণিজ্যিকভাবে পদ্ম চাষ শুরু করতে পারা দফতরের একটি বড় সাফল্য। গত বছরে পরীক্ষামুলক ভাবে সামান্য কিছু পদ্ম বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে লন্ডনে পাঠানো হয়েছিল। সেই পদ্মের মান দেখেই বিদেশের বাজারে বাঁকুড়ার পদ্মর চাহিদা তৈরি হয়। এবছর বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বারো হাজার পদ্ম বিদেশে পাঠানো হচ্ছে বলেই দাবি বাঁকুড়া জেলা উদ্যন পালন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মলয় কুমার মাঝির।
তিনি জানান, বাঁকুড়া জেলার পদ্মের রং, আকার এবং গঠনের জন্য এর চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাল দামও পাচ্ছেন চাষি। এর ফলে পদ্ম চাষেও অনেকেই উৎসাহ প্রকাশ করছেন।