সংক্ষিপ্ত
- পশুপ্রেমের মাশুল দিলেন এক মহিলা ও তাঁর ছেলে
- রাস্তার কুকুরদের খাওয়াতে গিয়ে বেধড়ক মারে মাথা ফাটল দু'জনেরই
- প্রতিবেশীরাই তাঁদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ
- ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে
জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ইশ্বর। কিন্তু সেকথা আর মানছে কে! পথের কুকুর-বিড়ালদের খাওয়াতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা ও তাঁর ছেলে। প্রতিবেশীরাই তাঁদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে।
খড়দহ পুর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মাদারীপুর এলাকায় থাকেন সবিতা নন্দী নামে এক গৃহবধূ। মায়ের সঙ্গে থাকেন সবিতার ছেলে দীপঙ্করও। এলাকায় পশুপ্রেমী হিসেবেই পরিচিত মা ও ছেলে। বাড়িতে পোষ্য না থাকলেও, প্রতিদিন রাতেই রাস্তার কুকুর ও বিড়ালদের খাওয়ান সবিতা ও দীপঙ্কর। জানা গিয়েছে, মা ও ছেলের এই স্বভাব একেবারেই পছন্দ নয় প্রতিবেশীদের। বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন তাঁরা। এমনকী, সবিতা ও তাঁর ছেলে সঙ্গে আশেপাশের লোকেদের বেশ কয়েকবার ঝামেলাও হয়েছে। কিন্তু রাস্তার কুকুর ও বিড়ালদের খাওয়ানোর বন্ধ করেননি সবিতা ও দীপঙ্কর। আর তারই মাশুল দিতে হল তাঁদের। আক্রান্ত হলেন দু'জনই।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে যখন বাড়ির সামনে কুকুর-বিড়ালদের খাওয়াচ্ছিলেন দীপঙ্কর, তখন প্রতিবেশীদের সঙ্গে ফের তর্কাতর্কি শুরু হয় তাঁর। প্রতিবেশী শান্তিলতা নন্দীর পরিবারের লোকেরা মেরে দীপঙ্করের মাথা ফাটিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এমনকী ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন সবিতা নন্দীকে। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও সবিতা ও দীপঙ্করকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁদের প্রতিবেশী শান্তিলতা নন্দী। ওই মহিলার পাল্টা দাবি, তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা কুকুর বিড়ালকে ভালোবাসেন। বৃহস্পতিবার রাতে দীপঙ্করকে শুধু বাড়ির পিছনে নিয়ে গিয়ে কুকুর-বিড়ালদের খাওয়াতে বলেছিলেন তাঁরা। সবিতা ও দীপঙ্করকে মারধর করা হয়নি।