সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার শহরের এক হাসপাতালে কলকাতার আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সুব্রত সরকার। বয়স ৬১। তিনি বাঁশদ্রোণীর, বিধানপল্লির ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন সুব্রত সরকার।
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড গড়ল ডেঙ্গির দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যে এই প্রথমবার আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল প্রায় ৯০০। মঙ্গলবার মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬৫ জন। এর আগে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এত বেশি সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হননি। এবার প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গু। সূত্রের খবর কলকাতায় আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হল। মৃত ব্যক্তি বাঁশদ্রোণীর বিধানপল্লির বাসিন্দা। তবে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে হৃদরোগ মৃত্যুর কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে ১৯ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার শহরের এক হাসপাতালে কলকাতার আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সুব্রত সরকার। বয়স ৬১। তিনি বাঁশদ্রোণীর, বিধানপল্লির ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন সুব্রত সরকার। সোমবার রাতে বাড়িতে আচমকাই জ্ঞান হারান। তড়িঘড়ি উডল্যান্ডস হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষায় ডেঙ্গি NS1 অ্যন্টিজেন পজিটিভ ধরা পড়ে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টও হয় সুব্রতর। বিকেলেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা করের কথায়, 'ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানা যায় তিনি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে মৃত্যু হয়েছে তিনবার স্ট্রোক হওয়ার কারণে।'
এদিকে, কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। ই এম বাইপাস লাগোয়া অনেকগুলি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি বেড়ে চলেছে হু হু করে। কলকাতার ২৫টি ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে ‘ফিভার ক্যাম্প’। স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যে কোনও বিশেষ জেলা বা ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি কি না, তার দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গেছে, উত্তর কলকাতার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাশীপুর রোড, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, বেলতলা বস্তি, আহিরীপুকুর ফার্স্ট লেন, ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের এ কে মহম্মদ সিদ্দিকি লেন, নবাব আবদুল রহমান স্ট্রিট, ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালীঘাট রোড, কালী টেম্পল রোড, মহিম হালদার স্ট্রিট, নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিটও ডেঙ্গিপ্রবণ।
শহর বাদ দিলে জেলাগুলির মধ্যে উত্তর ২৪ পরগণা জেলাতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। সল্টলেক, দক্ষিণ দমদম, টিটাগড়ের পাশাপাশি দেগঙ্গা, বারাসত-১, স্বরূপনগরের মতো গ্রামীণ এলাকাতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। উত্তর ২৪ পরগনার পর দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং দার্জিলিঙেও বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা।